আদিত্য ঘোষ, ব্যারাকপুরঃ সামনের সোমবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। এই লোকসভা কেন্দ্র অন্যতম চর্চিত কেন্দ্র। কারণ এই কেন্দ্রের দুই প্রার্থীই একে অপরের ‘বন্ধু’! ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ বিজেপির প্রার্থী অর্জুন সিং তৃনমূল ছেড়ে আবার বিজেপির হাত ধরেছেন। অন্যদিকে নৈহাটির বিধায়ককে ব্যারাকপুরের টিকিট দিয়েছে ঘাসফুল। অন্যদিকে সিপিএম কলকাতা থেকে দেবদূত ঘোষকে প্রার্থী করেছে। যিনি আবার সফল অভিনেতা। তবে আসল লড়াই পার্থ আর অর্জুনের। এই লড়াই-এর উত্তাপ কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে। পাড়ার মোড়ে মোড়ে আলোচনা চলছে!চায়ের দোকানে চলছে তর্ক। সাধারণের অনেক অভিযোগ, রয়েছে অনেক আশা, তবে এতকিছুর মধ্যেও নৈহাটি বড় মা যেন সবকিছুর উপরে ওনার আশীর্বাদ কি ফ্যাক্টর হতে চলেছে এই লোকসভা ভোটে?
কলকাতা ২৪x৭ থেকে নৈহাটির বড় মায়ের মন্দিরে সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ” যার কর্মফল ভাল, তিনি জিতবেন!” একটু থেমে তিনি আরও জানালেন যে, ” বড় মা কাউকে ফেরান না। তিনি দু’হাত ভরে সবাইকে দিয়ে যান।” তাঁকে থামিয়ে বললাম, ” ব্যারাকপুরের দুই প্রার্থীই তো বড় মায়ের কাছে গিয়েছিলেন। দুজনেই তো জয়ী হওয়ার কথাই নিশ্চয় অনুরোধ করে এসেছেন। তাহলে বড় মা কাকে জয়ী করবেন!” তিনি উত্তরে বললেন, ” জয়ী একজনই হবেন, যাকে বড় মা যোগ্য বলে মনে করবেন!” আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ” কথিত আছে তিনি তো কাউকে খালি হাতে ফেরান না, তাহলে?” তিনি একটু ভেবে বললেন, ” আসলে সবই মায়ের ইচ্ছে। যা হবে ভালই হবে।”
প্রসঙ্গত ভোটের মনোনয়ন পেশের আগে বড় মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন পার্থ ভৌমিক। আবার অন্যদিকে অর্জুন সিংও পুজো দিতে গিয়েছিলে বড় মায়ের কাছে। তিনিও তো চাইবেন আবার দিল্লি যেতে। তাহলে তো মহা মুশকিল। কিন্তু এইবার লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে বড় মায়ের আশীর্বাদ কি সত্যিই বড় ফ্যাক্টর? সত্যিই কি কর্মফল কথা বলবে? ২০১৯ সালের পর কি ব্যারাকপুরের মানুষ সঠিক মানুষকে নির্বাচন করবেন? ৪ই জুন জানা যাবে লোকসভা ভোটের ফল।