লোকসভা ভোট শেষ হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসের খবর পাওয়া যেতে শুরু করেছে। গত শনিবার ছিল অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের শেষ দফার ভোটগ্রহণ আর তারপরেই সন্ধে থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লোকসভা ভোটের আগাম ফলাফল দেখানোর পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্গত গরিফার ৭ নং ওয়ার্ডে মধ্যরাতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, নৈহাটির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেও বোমা মারার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর থেকে নৈহাটিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত নৈহাটি ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত। আর এই ব্যারাকপুর লোকসভা এইবার লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম চর্চিত আসন। তৃনমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির অর্জুন সিং। এই লোকসভা ভোটের আগে থেকে প্রচুর অঙ্ক কষা শুরু হয়েছিল যে কে এইবার জিততে চলেছে। অনেক মনে করেছেন এই লড়াই প্রেস্টিজ ফাইট। আবার অনেকে মনে করেছিলেন এই লড়াই বাঙালির সঙ্গে অবাঙালির লড়াই। আবার অনেকে এও বলেছিলেন এই লড়াই সন্ত্রাসের সঙ্গে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের লড়াই। কিন্তু গতকাল ভোটের আগাম ফলাফলের পূর্বাভাস দেওয়ার পরেই দেখা গিয়েছে যে ব্যারাকপুরে সম্ভাব্য জয়ী হতে চলেছেন দলবদলু অর্জুন সিং। তারপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
নৈহাটি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন কর্মকার কলকাতা ২৪x৭কে ফোনে জানালেন যে, ” গতকাল রাতে আমার বাড়ির পাশেই পার্টি অফিসের সামনে বোমা মারার ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বোমা মেরেছে। ওইখানের তৃণমূল নেতা রাজেন্দ্র গুপ্তা অনেক সিনিয়র নেতা আর আমি ওই ওয়ার্ডের অবসারভার।” পাল্টা প্রশ্ন করা হল, ” আপনার অপরে আক্রমণের কারণ?” তিনি জানালেন, ” ভোটের দিন আমি আমার এলাকায় সন্ত্রাস করতে দিইনি তাই ওদের আমার উপরে রাগ।” তিনি সরাসরি এই ঘটনার জন্য অর্জুন সিংকে দায়ী করেছেন এবং তিনি একশ শতাংশ আশাবাদী যে পার্থ ভৌমিক ব্যারাকপুর থেকে জয়ী হবেন।