আরজি কর-কাণ্ডে বিজেপির মিছিল, ‘মেয়েদের রাত দখলে’র লড়াই কী এবার গেরুয়াকরণের ইঙ্গিত?

আরজি কর-কাণ্ডে যত সময় এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন মোড় প্রকাশ্যে আসছে। এই ঘটনা এখন আরও তীব্রতা আকার ধারণ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে একদিকে যখন মেয়েদের…

আরজি কর-কাণ্ডে যত সময় এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন মোড় প্রকাশ্যে আসছে। এই ঘটনা এখন আরও তীব্রতা আকার ধারণ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে একদিকে যখন মেয়েদের ‘রাত্রি দখল’ কর্মসূচি চলছিল তখন অন্যদিকে পুলিশের সামনে মধ্যরাতে রণক্ষেত্র আর জি কর মেডিকেলে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের সামনেই ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালে ভাঙচুর, জরুরি বিভাগে তাণ্ডব, ইটবৃষ্টি চলে। এহেন অবস্থায় এবার মহিলা চিকিৎসক খুন ও আরজি কর হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনায় সরব হল SUCI এবং বিজেপি।

নতুন করে থমকে যেতে পারে কলকাতা শহর সহ সমগ্র বাংলার দৈনন্দিন যাত্রা। কারণ আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল শুক্রবার ১৬ আগষ্ট বাংলা বনধের ডাক দিল এসইউসিআই। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টার এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে বাম সমর্থনকারী আরএসপি। শুধু তাই নয়, আরজি কর-এর ঘটনায় আগামীকাল দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে অবধি রাস্তা রোকো অভিযান, মোমবাতি মিছিল করবে বিজেপি।

   

বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি করবে বিজেপির মহিলা মোর্চা। এমনিতে আরজি কর কাণ্ডে গোটা দেশ তোলপাড়। চিকিৎসক খুনে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক রঙও লাগতে শুরু হয়ে গিয়েছে। পথে নামতে শুরু করেছে বিজেপি থেকে শুরু করে বাম, কংগ্রেস। চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা চলছে বলে বিস্ফোরক দাবি করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদিও এই ঘটনায় কি এবার গেরুয়াকরণের ইঙ্গিত দিতে চাইছে বিজেপি? উঠছে প্রশ্ন। 

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি আন্দোলনরত চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা শোনেন। সরকারি মেডিক্যাল কলেজের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের উপর এই বর্বরতার নিন্দা করে আইএমএ। আইএমএ রাজ্য শাখাগুলির সাথে একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছে। বুধবার রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় আরও একবার প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।