কলকাতায় লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের পরে এবার মুর্শিদাবাদে ৫০ হাজার কন্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করল বিজেপি। আসল কথা,ধর্ম ও রাজনীতিকে একসঙ্গে মিলিত করে মানুষের মনে সুড়সুড়ি দেওয়ার প্রবনতা চলছে । এদিকে এবারের লোকসভা ভোটে মুর্শিদাবাদের একাধিক কেন্দ্রে রয়েছে হেভিওয়েট সব প্রার্থী। বহরমপুর থেকে জোর টক্কর হতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের মধ্যে। মুর্শিদাবাদকে বিজেপির মতোই পাখির চোখ করেছে আইএসএফও। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ আসন থেকেই লড়তে চলেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কিন্তু,ভোটের মুখে গীতা পাঠ নিয়ে কী বলছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি? অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলছেন, “কী বলব আর। আমি তো আর মানা করতে পারি না। বামপন্থীরা বলেন, “ভোট বাক্সে ধর্মকে ব্যবহার করার যে কাজ ভারতে শুরু হয়েছে ভবিষ্যতকে তার মাসুল দিতে হবে।”
বহরমপুর শহরের ফরাসডাঙ্গা লাগোয়া এলাকায় এই ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয় চৈতন্যদেবের জন্মতিথি উপলক্ষে। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ। সূত্রের খবর, ব্রিগ্রেডের গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন এই প্রদীপ্তানন্দ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অনেক বিজেপি নেতাকেই। অধীর চৌধুরী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “গীতা পাঠের জন্য নির্বাচনের মরসুম বেছে নেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক কারণ আছে। এটার মধ্য দিয়ে কী ভাল চাইছে জানি না। তবে বহরমপুরে ওদের গীতা পাঠের অনুমতি কে দিল জানি না। আমাদের তো একটা মিটিং করতে দেওয়া হয় না। এমপি লটের কাজ সেটা করতে দেওয়া হয় না।” পাল্টা বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন,“গীতা পাঠের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমি অধীরবাবুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি । উনি নিজেও আসুন। গীতা পাঠ সবার। গীতা পাঠ সব রাজনৈতিক দলের। অফিসিয়ালি ওনাকে কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু, উনি আসবেন না। উনি ভাবছেন গীতা পাঠে গেলে ওনার কিছু ভোট কমে যাবে।” মুর্শিদাবাদে পথ চলতি একজন মানুষকে এই গীতা পাঠের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন,জানি না কে আমন্ত্রণ করেছেন। আমি কেন যাব। আমার বাড়িতে গীতা আছে। সে গীতা পাঠ আমি বাড়িতে করি।