ইডি-সিবিআইয়ের কার্যকারিতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মন্তব্যের কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে দলকে৷ এমনকি মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দল থেকে কড়া শাস্তির আভাস পেয়ে এবার দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বসলেন (Dilip Ghosh) দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, যদি দম থাকে, কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখাক।
মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ বলেন, আমি যা বলি সত্য বলি। কারও খারাপ লাগলে আমার কিছু করার নেই। বিজেপি কলকাতায় কবে সিট পেয়েছে? কলকাতার লোক দুর্নীতি নিয়ে ভাবে না। নিজের সুবিধা নিয়েই থাকে। গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ চলছে। কলকাতায় প্রতিবাদ কোথায়? তারা নিজেরা নিজেদের নিয়ে থাকেন। আমি যা বলি সত্য বলি। কারও খারাপ লাগলে আমার কিছু করার নেই। কারও যদি দম থাকে, কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখাক। এখানকার বাঙালিদের এটাই ক্যারেকটার। কালীঘাটের কাছে থাকি। আনন্দে থাকি। ভিখারি হয়ে থাকি। কিচ্ছু যায় আসে না। পুজোর টাকা পেয়ে খুশি থাকি।
ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া ও বিদ্যুতের বিল ছাড়ের প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বার্তা, পঞ্চায়েত দূরের কথা। এখন বাঁচাও সাধু বাবা চলছে। সব ভুলিয়ে দেওয়ার চাল। ভাববেন না ইলেকট্রিক বিল কম হবে। আসলে সেই বোঝা আমাদের ওপর চাপবে।’
এদিন ১০০ দিনের টাকার মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগের বিরুদ্ধেও কথা বলেন তিনি। দিলীপের কথায়, ‘টাকা দেবে না তো। আমরাই দিতে বারণ করেছি। টাকার হিসেব না দিলে টাকা দেবে না। হিসেব দিন, টাকা নিন।
তবে সিবিআই প্রসঙ্গে নিজের মন্তব্যে এখনও অনড় দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, আমি রিপিট করি না যা বলি স্পষ্ট ভাবে বলি আমার কিছু করার নেই আমার অনেক বেশি কষ্ট আছে। তাঁর সাফ বক্তব্য, আমি নতুন কিছু বলিনি। কোর্ট নিজেই হতাশা ব্যক্ত করেছে। একজন কর্মী হিসেবে আমি নিজের হতাশা ব্যক্ত করেছি।
এরই মধ্যেই সেমবার হেস্টিংসের দফতরে সুকান্ত মজুমদারদের রাজ্য কমিটির বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, কোর কমিটির বৈঠকে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। রাজ্য কমিটির বৈঠকে নয়৷ যেটা সুকান্ত মজুমদারের জানা ছিল না৷