নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের অফিস থেকে পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে একাধিক তথ্য মিলতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শাসক দল৷ সুর চড়িয়েছে বিরোধীরাও। হিসেব না মেলা অবধি টাকা পাঠানো বন্ধের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP President Sukanta Majumdar)।
কেন্দ্রকে দেওয়া চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, এ রাজ্যের পুরসভার সমস্ত বিষয়ে বিশেষ আর্থিক-তদন্ত করুক কেন্দ্র। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, হিসেব না মেলা পর্যন্ত টাকা পাঠানো বন্ধ করা হোক। চিঠিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, ইডি এখনও পর্যন্ত নিয়োগ-দুর্নীতির অঙ্ক সাড়ে ৩০০ কোটির বেশি বলে জানালেও, তাঁদের অনুমান দুর্নীতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় অন্তত ৫ হাজার চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ৬০টি পুরসভায় ৫ হাজার চাকরি বিক্রির মিডলম্যান ছিলেন শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরিবিক্রির অভিযোগ ওঠায়, বিভিন্ন দফতরকে তথ্য খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী। পাশাপাশি স্বচ্ছতার জন্য আগামীদিনে জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে পুরসভার গ্রুপ ডি পদে যাবতীয় নিয়োগ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে পুরসভায় নিয়োগে অয়ন শীল প্রভাব খাটাত কীভাবে? সেটা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, অয়ন শীলের অফিস থেকে একাধিক নোটপ্যাড ও নথি উদ্ধার হয়েছে, যা তদন্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।