দিলীপের বিয়ের পরের দিনই সুকান্ত মজুমদারদের বড় ঘোষণা

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশে বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগেই রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে, বিজেপি (BJP Meeting) ২০২৬…

Security Stops Sukanta Majumdar’s Convoy En Route to See Off PM Modi

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশে বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগেই রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে, বিজেপি (BJP Meeting) ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে কার্যক্রম শুরু করেছে।

Advertisements

এরই মধ্যে, শুক্রবার সল্টলেকে বিজেপি (BJP Meeting) দফতরে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, যুব মোর্চার সভাপতি, মহিলা মোর্চার সভানেত্রী সহ আরও বহু দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

   

এদিনের বৈঠকে, সুকান্ত মজুমদার এবং অন্যান্য বিজেপি (BJP Meeting) নেতারা একে অপরকে গ্রাম চলো কর্মসূচি বাস্তবায়নের ব্যাপারে নির্দেশ দেন। বিজেপির (BJP Meeting) লক্ষ্য, রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে সংগঠনকে শক্তিশালী করা, কারণ ২০১১ সাল থেকে গ্রামাঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিশালী আধিপত্য রয়েছে। ২০২১ সালে বিজেপি শহরাঞ্চলে ভালো ফল করলেও গ্রামাঞ্চলে তৃণমূলের তুলনায় পিছিয়ে ছিল। সেই জায়গা থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এবার গ্রামে আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছে বিজেপি(BJP Meeting) । বাম আমলে গ্রামে শক্তিশালী উপস্থিতি ছিল, আর এখন তৃণমূলের ক্ষেত্রেও তা দেখা যাচ্ছে।

বৈঠকে দলের নেতারা একে অপরকে অনুপ্রাণিত করেন গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য। সুকান্ত মজুমদার এই পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজ্য বিজেপির সংগঠনকে আরও সুসংহত করতে চান, এবং গ্রামে সাধারণ মানুষের কাছে দলকে আরও পরিচিত করতে চান। এর অংশ হিসেবে, নির্বাচনী কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হয়েছে যেখানে সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা হবে। বিজেপি আশা করছে, এই পরিকল্পনা সফল হলে গ্রামাঞ্চলের জনগণের মধ্যে দলের প্রতি আস্থা বাড়বে এবং ২০২৬ সালে রাজ্যে নির্বাচনে ভালো ফল আসবে।

একইসঙ্গে, রাজ্য বিজেপির (BJP Meeting) সাংগঠনিক নির্বাচনও চলছে। রাজ্যে ৪৩টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে, এর মধ্যে ৩৩টি জেলার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তবে ১০টি জেলার সভাপতি নির্বাচন বাকি রয়েছে। এই বৈঠকে ওই জেলার বর্তমান সভাপতিদের কাছ থেকে সংগঠনের হাল-হকিকত সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদকরা, দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারীরা এবং জেলার নতুন সভাপতিরাও।

সুকান্ত মজুমদার (BJP Meeting) এদিনের বৈঠকে বলেন, “গ্রামের মানুষকে একত্রিত করা আমাদের মূল লক্ষ্য, তাদের মধ্যে আমাদের পরিকল্পনা, দৃষ্টি এবং উদ্দেশ্য পৌঁছানোর কাজ আমরা জোরদারভাবে করব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা জানি, শহরের মানুষদের ভোটে আমাদের ভালো ফল এসেছে, কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এখনও আমাদের শক্তির অভাব রয়েছে। সে কারণে, ‘গ্রাম চলো’ কর্মসূচি আমাদের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার।”

এদিনের বৈঠকের পর, সুকান্ত মজুমদার (BJP Meeting) দলের নেতাদের আরও একবার অনুরোধ করেন, যেন তারা দ্রুত তাদের সাংগঠনিক কাজ সম্পন্ন করেন এবং ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য আরও বেশি মনোযোগী হন। পাশাপাশি, দিলীপ ঘোষের বিয়ের দিনেই এই বৈঠক হওয়া নিয়ে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, কারণ দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পুরনো এবং শক্তিশালী নেতা, যার ভূমিকা ২০২১ সালের নির্বাচনে ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই বৈঠক, যে সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেটি প্রমাণ করে যে বিজেপি (BJP Meeting) পশ্চিমবঙ্গে শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করতে চায় এবং ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য অর্জন করতে চায়। দলটি জানে, নির্বাচনে জয়ী হতে হলে শহর এবং গ্রামাঞ্চলে সমানভাবে শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন। সুতরাং, এই মুহূর্তে বিজেপির গ্রাম-মুখী পরিকল্পনা রাজ্যের রাজনৈতিক চিত্রকে পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারে।

এক কথায়, বিজেপি (BJP Meeting) এখন সারা রাজ্যে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে এবং ‘গ্রাম চলো’ কর্মসূচি তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।