পুলিশের কাঁদানে গ্যাস খেয়ে অসুস্থ সুকান্ত, গাড়িতে করে ছাড়লেন বিক্ষোভস্থল

নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhiyan) ডাক দিয়েছিল বিজেপি (BJP) সমর্থিত ছাত্র সমাজ। কিন্তু বহু চেষ্টাতেও নবান্নের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারল না বিক্ষোভকারীরা। অতএব পরিস্থিতি আঁচ করেই…

নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhiyan) ডাক দিয়েছিল বিজেপি (BJP) সমর্থিত ছাত্র সমাজ। কিন্তু বহু চেষ্টাতেও নবান্নের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারল না বিক্ষোভকারীরা। অতএব পরিস্থিতি আঁচ করেই লালবাজার অভিমুখে যাত্রা শুরু করে বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠনটি। নবান্ন অভিযানে ধৃতদের ছাড়াতেই এই অভিযান হলো দাবি করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sujkanta Majumder)।

বিজেপির ডাকা বুধবারের বনধ রুখতে মরিয়া নবান্ন, জারি গুচ্ছ নির্দেশিকা

   

কিন্তু লালবাজারে সামনেও কলা নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলেছিল পুলিশ। তাই বিক্ষোভকারীরা সামনে আসতেই লাঠিচার্জ ও জলকামান চালানো শুরু করে পুলিশ কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। আর এতেই জখম হন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত। তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে বিক্ষোভস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।

Arjun Singh: কোন রাজনৈতিক অভিযান নয়, তবুও বিক্ষোভে সামিল অর্জুন, এল হুঁশিয়ারি

এদিন নবান্ন অভিযানে উত্তাল কলকাতা ও হাওড়ার পরিস্থিতি। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আহ্বানে নবান্ন অভিযানের সামিল হয়েছে হাজারও মানুষ। তাঁদের দাবি একটাই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সকাল থেকেই নবান্ন এবং হাওড়া সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা কড়া নিরাপত্তার চাদরের মুড়ে ফেলেছে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ।

কিন্তু বেলা বাড়তেই বিক্ষোভকারীদের ঢল নেমে আসতে থাকে রাস্তায়।

একের পর এক দলে বিভক্ত হয়ে তারা রীতিমত ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে পুলিশের ওপর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। ঘটনা বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে। হাওড়া চন্ডীতলা থানার আই সিও এই ঘটনায় আহত হন। তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকেই সংঘাত চলতে থাকে। কোন কোন জায়গায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলেও জানা গিয়েছে। আর ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীদের পিছু হটতে বাধ্য করছে পুলিশ।

ক’দিন পর মহারাষ্ট্রে ভোট, মোদীর উদ্বোধন করা শিবাজী মূর্তির ভাঙায় চাপে বিজেপি

এমন অবস্থায় বিক্ষোভ চলাকালীনই এই জমায়েত বেআইনি বলে লাগাতার ঘোষণা করতে থাকে পুলিশ বাহিনী। ব্যারিকেট এলাকাগুলির বিভিন্ন দিকে মাইক লাগানো হয়েছে। সেখানেই লাগাতার প্রচার করা হয় নবান্ন অভিযান সম্পূর্ণ বেআইনি। তার কারণ এর জন্য আগে পুলিশের অনুমতি নেয় নি সংগঠনগুলি।

গতকাল সোমবারই এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন রাজ্যের এডিজি আইন শৃঙ্খলা মনোজ বর্মা ও এডিজি আইন শৃঙ্খলা দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। তাঁরা বলেন, এই আন্দোলনের জন্য পুলিশের অনুমতি প্রয়োজন। তা আবেদন জানাননি বিক্ষোভকারীরা। নবান্ন সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় নেয় সঙ্গীতার ১৬৩ ধারা জারি থাকে। সেই অনুযায়ী বেশি লোকের জমায়েত সেখানে করা সম্ভব নয়। কিন্তু যেভাবে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের উস্কানিতে বিক্ষোভকারীরা পথে নেমেছেন তা সম্পূর্ণ বেআইনি। এছাড়াও বহিরাগতরা এই আন্দোলনে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল।