নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙা নিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে চিঠি লিখল হাওড়া গ্রামীণ বিজেপি।
বিজেপির পক্ষে প্রত্যূষ মণ্ডল জানিয়েছেন, “বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে একটি বিষয় অবগত করতে চাই যে, সনাতন ধর্মালন্বীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গাপূজাতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আপনার দেশের সংখ্যাগুরু জেহাদি মুসলমানরা তাদের দেব দেবী এবং উপাসনা স্থলের উপরে হামলা চালিয়েছে। প্রায় ৩০টি জেলা জুড়ে দুর্গা গ্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।
আপনার দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুশিশু সহ মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়েছে, হিন্দুদের হত্যা করা হয়েছে, শতাধিক হিন্দু ঘরবাড়ি লুটপাট সহ ইসকন মন্দির ভাঙচুর এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করা হয়েছে। এই অমানবিক নিন্দনীয় ভয়ঙ্কর তান্ডবলীলা চালানো হয়েছে তার প্রতি ধিক্কার জানাই। এই হিংসার ঘটনা ভারত এবং বাংলাদেশের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সাম্প্রদায়িক সৌভ্রাতৃত্বের উপর জিহাদী কুঠারাঘাত করেছে। এই পত্রের মাধ্যমে বিজেপি হাওড়া জেলা (গ্রামীন) -এর পক্ষ থেকে আমরা আপনার কাছে একান্ত অনুরোধ করতে চাই যে, যত শীঘ্র সম্ভব বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু হিন্দুদের সুরক্ষা ও মানবাধিকারের ব্যবস্থা করুন”
এর আগে এই বিষয় নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল গ্রামীণ হাওড়ার বিজেপি। প্রত্যূষ মণ্ডল জানিয়েছিলেন, “অষ্টমীর দিন থেকে লাগাতার আমাদের প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নারকীয় অত্যাচার চলছে। গোটা দেশ জুড়ে অসংখ্য মা দুর্গা, মন্ডপ আক্রান্ত হয়েছে এবং ধ্বংস করা হয়েছে। শতাধিক মন্দির, মঠ আক্রমণ করা হয়েছে ও ধ্বংস করা হয়েছে। বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে হত্যা করা হয়েছে। আরও অসংখ্য মানুষ আহত ও নিখোঁজ। অসংখ্য হিন্দু মা-বোন ধর্ষিতা হয়েছেন- ছোট শিশুদেরকেও রেহাই দেওয়া হয় নি। ইস্কন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘের মতো প্রতিষ্ঠানও আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায় নি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।” তাই ভারতীয় জনতা পার্টি, হাওড়া গ্রামীণ জেলার উদ্যোগে উলুবেড়িয়া SDO অফিসের সামনে পার্শ্ববর্তী দেশের শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছিল তারা।