কলকাতায় কসবাকাণ্ডে (Kasaibandh Incident) বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং (BJP Fact Finding Team) টিমের আগমন ঘটেছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এই বিশেষ দলটি রাজ্য সরকারের ভূমিকা এবং পুলিশের আচরণ পর্যালোচনা করতে কলকাতা এসেছেন। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার (BJP Fact Finding Team) নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের এই টিমের নেতৃত্বে আছেন বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিং। তার সঙ্গে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখী এবং রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। দলটির মূল লক্ষ্য হলো কসবাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা।(BJP Fact Finding Team)
কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বিজেপি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে। সাংসদ সত্যপাল সিং মন্তব্য করেন, “আমরা নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা(BJP Fact Finding Team) করার চেষ্টা করব এবং তদন্ত করার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। এই ধরনের ঘটনা যে কতটা দুর্ভাগ্যজনক, তা ব্যাখ্যা করার ভাষা নেই। পুলিশ প্রশাসনের কী ভূমিকা ছিল, সেটাও আমাদের তদন্তের মধ্যে থাকবে। আমি বিশ্বাস করি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেবেন।”(BJP Fact Finding Team)
তবে বিজেপির এই দলটি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সঠিক(BJP Fact Finding Team) সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা জানিয়ে দেন যে, রাজ্য সরকার অরাজকতার দিকে ঝুঁকছে এবং এই ধরনের ঘটনা তদন্ত করতে গেলে তাদের সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে তারা ক্ষুব্ধ।(BJP Fact Finding Team) দলটির সদস্যরা বলেন, “এই রাজ্যে অরাজকতা চলছে। রাজ্য সরকার যদি পহেলগাঁও বা হাথরসে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাতে পারে, তবে আমাদের দলের কোনো টিমকে কেন সহায়তা করবে না? মুখ্যসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েও আমাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ডিজিপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি মেলেনি। এটা অগণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা।”(BJP Fact Finding Team)
বিজেপির দাবি, মুখ্যসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য (BJP Fact Finding Team) তারা আবেদন করলেও, কোনো সাড়া মেলেনি। রাজ্য প্রশাসনের এই ধরনের আচরণের প্রতি দলের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মতে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও নিরপেক্ষ তদন্তের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে না, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী।(BJP Fact Finding Team)
এদিকে, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা কলকাতা পুলিশ কমিশনার (BJP Fact Finding Team) মনোজ ভর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য আগ্রহী। কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা তাদের সময় দিয়েছেন এবং লালবাজারে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এখন লালবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। সেখানে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কসবাকাণ্ডের তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।(BJP Fact Finding Team)
বিজেপির এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কসবাকাণ্ডের পুরো পরিস্থিতি(BJP Fact Finding Team) নিয়ে তদন্ত করে, মূল অপরাধীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করবে। এই দলটির কাজকে রাজ্য সরকারকে নজরদারি ও তদন্তের জন্য চাপ সৃষ্টি করার একটি চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিজেপির এই পদক্ষেপটি আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে কসবাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের দিকে।
তবে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন, তা ভবিষ্যৎই দেখাবে। তবে রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন উঠছে, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের এই আগমন কি শুধুমাত্র রাজনীতিক স্বার্থেই, নাকি সত্যিই কসবাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্তের জন্য তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে?(BJP Fact Finding Team)
এছাড়া, কলকাতার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সরকারি ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কতটা রয়েছে, সেটাও এই তদন্তের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। বিজেপির এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের কার্যক্রম কেবল কসবাকাণ্ডের ঘটনা নয়, বরং রাজ্য সরকারের সাধারণ প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের ওপরেও প্রশ্ন তুলতে পারে।
বিশেষত, রাজ্যে বিজেপি যখন প্রতিদিন নতুন নতুন আন্দোলন এবং প্রতিবাদের মঞ্চ তৈরি করছে, তখন কসবাকাণ্ডের মতো ঘটনা এই দলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে। কেবল সময়ই বলবে, রাজ্য সরকার এবং বিজেপি এই বিতর্কের পরিণতি কীভাবে নির্ধারণ করবে।