তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফের সরাসরি আক্রমণ শানালেন বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমকে। আরজি কর কাণ্ড থেকে শুরু করে অপরাজিতা বিল প্রসঙ্গ—প্রতিটি ইস্যুতেই বিরোধীদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।
অভিষেক বলেন, “যাঁরা দোষীর শাস্তির দাবিতে রাত দখলের আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের আমি সম্মান জানাই। কিন্তু মোদীর সিবিআই এতদিনে কিছু করতে পারল না। কলকাতা পুলিশ এক বছরে যে তদন্ত করেছে, তার বাইরে সিবিআই নতুন কিছু দেখাতে পারল না।”
এরপর তিনি কটাক্ষ করেন বিরোধীদের উদ্দেশে—“অপরাজিতা বিল নিয়ে বিজেপি, কংগ্রেস বা সিপিএম মুখ খুলছে না কেন? মানুষ জানতে চায়, এত বড় ইস্যুতে নীরবতা কেন? জনগণের পক্ষে কথা বলার নৈতিক দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলির রয়েছে।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিষেকের এই বক্তব্যে একদিকে বিরোধীদের দায় এড়িয়ে যাওয়া এবং অপর দিকে তৃণমূলের সক্রিয় ভূমিকা দেখানোর চেষ্টা স্পষ্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কৌশল মূলত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের আগে জনমত গঠনের প্রচেষ্টা।
রাজ্যের তরুণ সমাজের মধ্যে অপরাধ, প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং কেন্দ্রীয় সংস্থার কার্যক্ষমতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষকে হাতিয়ার করতে চাইছে শাসক দল। অভিষেকের দাবি অনুযায়ী, যদি সিবিআই কিছু প্রমাণ করতে না পারে, তবে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।
অপরাজিতা বিল প্রসঙ্গে বিরোধীরা এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করায় রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে—এই নীরবতার আড়ালে কি রাজনৈতিক সমঝোতা রয়েছে? নাকি কৌশলগত কারণে বিরোধীরা চুপ করে আছে?