সদ্য লোকসভা ভোট মুখ থুবড়ে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। মুখ থুবড়ে পড়ার পর থেকেই একের পর এক জয়ী এবং পরাজিত সাংসদের মুখে দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু তাই নয় একদপ চুপ হয়ে গিয়েছে বিজেপির ‘ব্যাড বয়’ দিলীপ ঘোষ। এহেন পরিস্থিতিতে শনিবারের বিজেপির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী! তাঁর অনুপস্থিতি নিয়েও চলছে জোর চর্চা। তবে বিজেপি তাঁদের পুরোনো জমি ফিরে পেটে প্রবল শক্তি দিয়েই ঝাঁপাতে চাইছে উপনির্বাচনে। বিজেপির অন্দরে ভাসছে বেশ কিছু নাম।
আগামী ১০ই জুলাই রাজ্যের চার বিধানসভায় উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে দিয়েছে ঘাসফুল। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপির কী গেম প্ল্যান? বিজেপির প্রাথমিক আলোচনায় উঠে এসেছে ঠাকুরবাড়ির আর এক সদস্যের নাম। তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের স্ত্রী সোমা ঠাকুর। তবে এখনও এ ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। নাম এসেছে মতুয়া সম্প্রদায়ের বিনয় বিশ্বাস এবং অমৃতলাল বিশ্বাসেরও। এ ছাড়াও আলোচনায় হয় দু’টি নাম নিয়ে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুলাল বর।
শনিবার রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে চারটি আসনের জন্য মোট ১২ জনের নাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠানো হয়েছে। সব কেন্দ্রেই স্থানীয় নেতাদের প্রার্থী করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। রায়গঞ্জের প্রার্থী হিসাবে স্থানীয় শিক্ষক শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। এ ছাড়াও বিজেপির পুরনো দিনের কর্মী বাবুলাল বালা এবং মানস ঘোষের নাম আছে জল্পনায়। রানাঘাট দক্ষিণে প্রার্থী হিসাবেও মতুয়া সম্প্রদায়ের মনোজ বিশ্বাসের নাম রয়েছে আলোচনায়।
অন্যদিকে মানিকতলার জন্য অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে। এ ছাড়াও উত্তর কলকাতার পুরনো দুই বিজেপি কর্মী অমিতাভ রায় এবং শ্যাম জয়সওয়ালের নামও রয়েছে। তবে এই সবই জল্পনা, যতক্ষণ না পর্যন্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শিলমোহর দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।