পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষক নিয়োগ (Teachers recruitment) নিয়ে ফের বিতর্কের ঝড়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) তরফে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিধি প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করলেও, (Teachers recruitment) অনেকেই বলছেন—২০১৬ সালের নিয়ম লঙ্ঘিত হলে এই নতুন নিয়োগও আইনি জটিলতার মুখে পড়বে।
আইনজীবী এবং সিপিএম(Teachers recruitment) নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “২০১৬ সালের নিয়মের বাইরে (Teachers recruitment) গিয়ে কিছু করলেই তা বাতিল হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, রাজ্য সরকার বাধ্য ২০১৬ সালের নিয়ম মেনে চলতে। (Teachers recruitment) পরীক্ষার পদ্ধতি, নম্বর বিভাজন—সবই সেই নিরিখে হওয়া উচিত। তা না হলে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া আইনি জটিলতায় আটকে যাবে।”
২০১৬ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষা ছিল ৫৫ নম্বরের, শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য ৩৫ নম্বর।(Teachers recruitment) এবার তা বদলে হয়েছে যথাক্রমে ৬০ ও ১০ নম্বর। নতুনভাবে(Teachers recruitment) ১০ নম্বর রাখা হয়েছে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতার (Teachers recruitment) জন্য এবং আরও ১০(Teachers recruitment) নম্বর লেকচার ডেমোস্ট্রেশনের জন্য। এই দুটি ক্ষেত্রেই ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও নম্বর ছিল না। এই পরিবর্তন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ বহু বিশিষ্টজন। তাঁর আশঙ্কা, এভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া(Teachers recruitment) বদলালে সুপ্রিম কোর্টের রায় লঙ্ঘন হবে, আর তা হলে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটাই অবৈধ বলে ঘোষিত হতে পারে।
রাজনৈতিক মহলেও এই বিষয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন রাজ্য সরকারকে। তাঁর অভিযোগ, “এই রাজ্য সরকার চাকরি দিতে চায় না। বারবার জটিলতা তৈরি করছে ইচ্ছাকৃতভাবে। অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য মৌখিক এবং ডেমো নম্বরে কারসাজি হচ্ছে। অর্থ লেনদেনের অভিযোগে অভিযুক্তদের রক্ষার চেষ্টা হচ্ছে। যোগ্য-অযোগ্যদের এক ছাঁচে ফেলা যায় না, অথচ রাজ্য সরকার সেই চেষ্টাই করছে।(Teachers recruitment)
এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও(Teachers recruitment) শিক্ষাকর্মী সমিতিও। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানান, “নতুন নিয়োগ বিধিতে এমন কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে(Teachers recruitment) যা চাকরিহারাদের কিছুটা সুবিধা দেবে ঠিকই, কিন্তু নতুন পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অসুবিধা বাড়াবে। SSC ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর দিয়ে প্রভাব ফেলতে পারবে। এতে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।(Teachers recruitment)
তিনি আরও বলেন, “আমরা আশঙ্কা করছি, এই নিয়োগ বিধি নিয়ে ফের আদালতে মামলা হবে। আবার নিয়োগ প্রক্রিয়া থেমে যাবে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে, শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি হবে। নতুন নিয়োগ বিধিতে যে বিতর্কিত বিষয়গুলো রাখা হয়েছে, সেগুলো বাদ দেওয়াই উচিত ছিল।”
সব মিলিয়ে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যে জটিলতা দেখা দিয়েছে, তা অস্বীকার করা যাচ্ছে না। বিকাশরঞ্জনের মতো অভিজ্ঞ আইনজীবী যখন সরাসরি বলছেন—“২০১৬-র নিয়মের বাইরে গেলেই (Teachers recruitment) তা বাতিল,” তখন রাজ্য সরকারকেও ভাবতে হবে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া কতটা আইনি ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আছে। শিক্ষা ব্যবস্থা এবং হাজার হাজার চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই সিদ্ধান্তের উপর। তাই প্রশ্ন উঠছেই— SSC কি আরও একবার বিতর্কের দায় কাঁধে নিচ্ছে? নাকি এটা নিছকই রাজনৈতিক চাপ তৈরি করার খেলা? (Teachers recruitment)