পঞ্জিকা অনুযায়ী ২ অক্টোবর, আজ বিজয়া দশমী (Bijoya Dashami)। সারা রাজ্যজুড়ে আজ চলছে দেবী দুর্গার বিদায় পর্ব (Durga Puja 2025)। পাঁচদিনের উৎসব, আনন্দ, আর ভক্তির পর আজ মা ফিরছেন কৈলাসে (Durga Puja)। নবমীর রাত থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তদের মনে বিষাদের ছায়া (Bengali Festival)। নিশিপূজার সন্ধ্যারতিতে সকলের চোখে জল, কণ্ঠে একটাই প্রার্থনা, “আবার এস মা।”
আজ সকাল থেকেই প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। বনেদি বাড়ি থেকে বারোয়ারি, সর্বত্রই দশমীর আবহ। কোথাও চলছে সিঁদুরখেলা (Sindoor Khela), কোথাও আবার শুরু হয়েছে দেবী বরণের প্রস্তুতি। সিঁদুরে রাঙা মুখ, হাতে মিষ্টি, চোখে জল। এমনই আবেগঘন পরিবেশে বিদায় জানানো হচ্ছে উমাকে।
বিশেষ করে কলকাতার শোভাবাজার, হাতিবাগান, বেহালা এবং উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়িগুলিতে আজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জনের আয়োজন। পুরনো রীতিমতে পালিত হচ্ছে দশমীর সমস্ত আচার। নারীরা পরস্পরকে সিঁদুর দিয়ে প্রণাম জানাচ্ছেন, কোলাকুলি করে দিচ্ছেন বিজয়ার শুভেচ্ছা।
অন্যদিকে বারোয়ারি পুজোগুলিতে আজই প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছে না সব জায়গায়। অনেক মণ্ডপে দশমীর নিয়ম মেনে হচ্ছে ‘বরণ’ এবং সিঁদুরখেলা, বিসর্জন হবে আগামী দিনগুলিতে। তবুও আবেগে কোনো খামতি নেই। উৎসবের শেষ লগ্নে উমার বিদায়ে আবিষ্ট রাজ্যবাসী।
দশমী মানেই বিজয়ার মিষ্টি মুখ। ফলে, রাজ্যের প্রতিটি মিষ্টির দোকানে আজ সকাল থেকেই ছিল ভিড়। ল্যাংচা, সন্দেশ, চমচম, রসমালাই সব কিছুরই চাহিদা তুঙ্গে। একদিকে বিদায়ের সুর, অন্যদিকে মিষ্টিমুখের ঐতিহ্য, মিলেমিশে এক অনন্য আবহ।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকানুসারে, এ বছর দেবী দুর্গা ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন এবং ঘোড়াতেই ফিরে যাচ্ছেন কৈলাসে। এই আগমন এবং গমনের মধ্যেও বাঙালি খুঁজে নেয় বার্তা আশার, বিশ্বাসের এবং নতুন আলোর।
বিজয়ার দিন মানেই আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, পায়ে পড়া, কোলাকুলি ও স্নেহভরা আশীর্বাদ। সেই রীতিই আজও অক্ষুণ্ণ। বাড়ির ছোট-বড় সকলেই এই আবেগে ভাগীদার।ম বিদায়ের মধ্যেও বাঙালির মন এখনই আগামী বছরের শারদীয়ায়। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ২০২৬ সালের পুজোর দিনক্ষণ। কোথায় কোন প্যান্ডেলে কীসের থিম হবে, সেই পরিকল্পনাও শুরু।
Bijoya Dashami celebration in Durga Puja 2025 with Sindoor Khela & brings hopes for next year Durga Puja Festival