বাগুইআটির চাউল পট্টির গোবিন্দচন্দ্র শেঠের বাজারের কালী মন্দিরে আবার ঘটলো চুরি (Gold Robbery)। প্রায় ১৪ বছর আগে যেখানে একই ঘটনা ঘটেছিল, এবারও সেই জায়গাতেই চুরি হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এবং তারা দাবি করছেন, পুলিশ যেন দ্রুত সোনার গয়না উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মন্দিরে প্রতিমার গায়ে বহু সোনার গয়না ছিল। প্রতিমার হাতে, কানে, গলায় সোনার অলঙ্কারের ব্যপ্তি ছিল। মন্দিরের নিরাপত্তা রক্ষায় দু’জন সুরক্ষাকর্মী নিয়োগ করা ছিল, তাছাড়া মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগানো ছিল। কিন্তু, সেই সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো সত্ত্বেও এই চুরি ঘটেছে।
সোমবার বাজারে আসা ব্যবসায়ীরা যখন মন্দিরের পাশের গেটের তালা ভাঙা দেখতে পান, তখন তারা ভিতরে গিয়ে দেখেন, প্রতিমার সমস্ত সোনার অলঙ্কার চুরি (Gold Robbery) হয়ে গেছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তারা তদন্ত শুরু করে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, রবিবার রাতে যদি এই চুরি হয়ে থাকে, তাহলে সুরক্ষাকর্মীরা কোথায় ছিলেন? সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কে বা কারা এত সাহসিকতার সঙ্গে এই চুরির ঘটনা ঘটাল?
মন্দির কমিটির সদস্যদের দাবি, সুরক্ষাকর্মীদেরও সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। কেননা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা ঘটানো যে খুব সহজ ছিল না, সেটি এখন প্রশ্নবিদ্ধ। পুলিশ জানাচ্ছে, সব দিক থেকেই তদন্ত করা হচ্ছে। তবে, এই চুরির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
উল্লেখযোগ্য যে, ১৪ বছর আগে এখানেই এই মন্দির থেকে প্রতিমার ২০ থেকে ২৫ ভরি সোনার গয়না চুরি হয়েছিল। সেই চুরি এখনও অধরা। প্রায় ১৪ বছর ধরে খোঁজা হলেও সেই চুরি নিয়ে এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। ওই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে নানা আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। আজও সে সব আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি। স্থানীয় দোকানদাররা বলছেন, সেসময় তারা বহুবার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও ফল পাননি।
এখন, ১৪ বছর পর আবার একই ধরনের ঘটনা ঘটার পর, স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন যে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। এই ধরনের চুরির ঘটনায় মন্দিরের প্রতি মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ণ হতে পারে। এমনকি, সুরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ এই ঘটনার গুরুত্ব উপলব্ধি করে দ্রুত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
সংশ্লিষ্ট সুরক্ষাকর্মীদের ভূমিকাও এখন তদন্তের আওতায়। তারা যদি নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন না করেন, তবে তা পুলিশের তদন্তের অন্যতম মূল বিষয় হয়ে উঠবে। তাছাড়া, এলাকার ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় বিচলিত, এবং তারা চাইছেন, মন্দিরের সোনার গয়না দ্রুত উদ্ধার করা হোক। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে যে তারা সবদিক থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য কাজ করছে।