বাংলায় কি ফের সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠী? বাংলা কি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে জঙ্গিদের গুপ্ত আস্তানা? এক কলেজ ছাত্রকে আটক করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। কিন্তু তাঁকে ঘিরে কেন এত উত্তেজনা ? জানা গিয়েছে, তিনি বাংলাদেশের এক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত! শুধু তাই নয়, ওই কলেজ পড়ুয়া জঙ্গি সংগঠনের বেশ খুঁটিনাটি বিষয়ে ওয়াকিবহল এবং ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যকলাপ নিয়ে ওই ধৃত পড়ুয়ার কাছে যথেষ্ট তথ্য থাকতে পারে বলে পুলিশের গোয়ান্দের অনুমান।
বীরভূম আছে বীরভূমেই, অনুব্রত গড়ে BJP কর্মীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের কাঁকসা থেকে শনিবার মহম্মদ হাবিবুল্লা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। কাঁকসা থানায় হাবিবুল্লার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর একটি মডিউল বাংলাদেশ ও বাংলায় সক্রিয়। শাহাদত নামে সেই মডিউলের প্রধান বা আমীর হিসাবে কাজ করতেন হাবিবুল্লা।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই মডিউলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বিশেষভাবে সুরক্ষিত বা এনক্রিপটিক মেসেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে কথাবার্তা বলতেন। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দা-র সঙ্গে যোগাযোগে থাকা আনসার আল ইসলামের মডিউল ভারত ও বাংলাদেশে নাশকতামূলক কাণ্ড ঘটাবে বলেই গোপনে কাজ করছিল বলে মনে করছে এসটিএফ। শুধু তাই নয়, এসটিএফের সন্দেহ যে, বাংলার আনাচে কানাচে এই বাংলাদেশ জঙ্গি গোষ্ঠী বাংলায় বেশ সক্রিয় থাকতে পারে।
মমতাকে টেক্কা দিতে সভাপতি পদে মহিলা মুখ আনছে বঙ্গ বিজেপি! দৌড়ে কারা?
আরও জানা গিয়েছে যে ধৃত পড়ুয়া পড়াশুনায় বেশ মেধাবী। বাড়ির চরম অর্থকষ্টের মধ্যে এই পড়ুয়া নিজের পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু কে তার ব্রেন ওয়াশ করল, সেই রহস্য সমাধানের চেষ্টা করছে রাজ্য পুলিশ। ধৃতের পরিবারের লোকজনদেরও নিয়ে এসে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হাবিবুল্লা কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। খবর পেয়ে কাঁকসা থানায় আসেন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা।
রবিবার ধৃ্তের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয় ৷ সূত্রের খবর, আজ তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলার কথা ৷ সেখানে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানাবেন এসটিএফ আধিকারিকরা।