মহালয়ার দিন ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাঁশদ্রোণীর (Bansdroni Student Death) দীনেশগড় এলাকা। সেখানে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সারাদিনই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। এবার সেই ঘটনায় পুলিশের হাতেনাতে ধরা পড়লেন ঘাতক পে লোডারের চালক ও মালিক। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ এই দুই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর আজ শুক্রবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত।
শুক্রবার পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়াল ১০৫.১৮ টাকায়, কলকাতায় কত রেট জানেন?
সেখানে তিনি কী বললেন? সাংবাদিক বৈঠকে এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, “পে লোডারে চাপা পড়ে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় বাঁশদ্রোণী থানায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল ওই পে লোডারের চালকের খোঁজ শুরু করেছিল। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দমদম এবং চিৎপুরের সীমানা থেকে দু’জনকে আটক করা হয়।
নিজের বাড়িতেই জখম অর্জুন সিং, লাগাতার চলল বোমা-গুলি!
দীর্ঘক্ষণ তাঁদের জেরা করা হয়। জানা যায়, তাঁদের মধ্যে এক জন শম্ভু রাম। তিনিই পে লোডার চালাচ্ছিলেন। ওই পে লোডারের মালিক বিশ্বকর্মা শর্মাই ঘটনার পর চালককে পালাতে সাহায্য করেছিলেন। চালককে লুকিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা ছিল। তাই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।” ছাত্রমৃত্যুর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁশদ্রোণীতে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে কেন্দ্র করে লাগাতার বিক্ষোভ দেখিয়েছিল।
আজই হাসপাতাল থেকে ছুটি পাচ্ছেন গোবিন্দা, হাসিমুখে জানালেন স্ত্রী
সেদিন পুলিশের নিগ্রহের সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে তদন্তও শুরু হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা পুলিশের ডিসি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, “আমাদের অগ্রাধিকার ছিল চালককে গ্রেফতার। সেটা হয়ে গিয়েছে। এবার বাকি ঘটনার তদন্ত হবে। ছাত্রমৃত্যু এবং পুলিশকে হেনস্থা মিলিয়ে বাঁশদ্রোণী কাণ্ডে মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশ নিগ্রহ নিয়ে দু’টি মামলা রয়েছে। সব অভিযোগের তদন্ত হবে।”
একগুচ্ছ ট্রেনের সময়সূচি বদলের ঘোষণা করল রেল, রইল তালিকা
প্রসঙ্গত, বুধবার মহালয়ার সকালে কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক নবম শ্রেণির ছাত্র কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন। কয়েকদিন ধরেই সেই সেন্টারের কাছে রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছিল। সেই সেন্টারেরই কাছে থাকা এক জেসিবি বুধবার সকালে ওই ছাত্রকে ধাক্কা মেরে পিষে দেয়। মাথায় গুরুতর চোট লাগলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এরপরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সেই এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য চাপ দিতে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা।