বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রি ছোট হলেও তার অন্দরে রয়েছে বিভিন্ন স্তর (Industry Discrimination)। আছে একাধিক লবি এবং দলাদলি। কিন্তু ভিতরে যাই থাক ভালো ছবিকে বড় জায়গা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রত্যেক ফিল্ম অনুরাগী মানুষ। কিন্তু ইদানিং অভিযোগ উঠেছে তিনটি ছবি একসাথে মুক্তি পেলেও কোনো একটি ছবিকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
বলা ভালো সেই ছবির প্রোডাকশন এবং অভিনেতাদের প্রভাবে হল মালিকরাও সেই ছবিকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে বেশি শো দিচ্ছেন। যেমন উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় পুজোর আগে তিনটি আলাদা স্বাদের ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। দেব অভিনীত রঘু ডাকাত, শ্রাবন্তী এবং প্রসেনজিৎ অভিনীত দেবী চৌধুরানী, উইন্ডোস প্রোডাক্শনের রক্তবীজ ২ এবং যত কান্ড কলকাতাতে।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই অভিযোগ করেছেন এর মধ্যে বিশেষ একটি ছবি সবচেয়ে বেশি শো পাচ্ছে হলগুলিতে। তার কারণ ছবির প্রযোজক এবং অভিনেতা যথেষ্ট প্রভাবশালী। নেটিজেনরা এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ। এবং তারা বলেছেন বাংলার সিনেমার স্বার্থে ঠিক হয়েছিল পুজোয় আসা সবকটি ছবি প্রথমে সমান সুযোগ পাবে।
তারপর দর্শকের সাড়া অনুযায়ী বা ব্যবসা অনুযায়ী হল মালিকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু এখানে হচ্ছে তার উল্টো। অনেকেই অভিযোগ করেছেন রক্তবীজ ১ এর মতো ছবি দর্শকদের মনে বিশেষ ভাবে জায়গা করে নিলেও এই ছবির সিক্যুয়েলকে কোনঠাসা করা হচ্ছে। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দর্শকেরাও বলেছেন রক্তবীজের মত ছবি আরো বড় জায়গা পাওয়া উচিত কিন্তু একটি প্রভাবশালী ছবির শো হল গুলিতে অনেক বেশি।
অনেকেই বলেছেন সব কোটি নতুন ছবি সমান জায়গা পাক। সমান সংখ্যক শো পাক। দর্শকরা প্রত্যেকটি ছবি দেখুন এবং তারাই বিচার করুন কোন ছবি তাদের সত্যি ভালো লেগেছে। কিছু সংখ্যক সমালোচক বলেছেন আজ সবকিছুর মধ্যেই রাজনীতি ঢুকে পড়েছে।
রাজনীতির প্রভাবশালী ব্যাক্তিরাও ছবির জগতে জড়িয়ে আছেন সুতরাং এটা কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয় যে কেউ তার নিজের প্রভাব খাটিয়ে বা বলা ভালো তার প্রভাবের আশঙ্কায় কোনো বিশেষ ছবিকেই বেশি প্রাধান্য দেবেন।
Mohun Bagan SG : এশিয়ার মঞ্চে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাগান, কি বার্তা ভাইচুংয়ের?
কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ ই তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন কোনটা ভালো ছবি আর কোনটা মানুষ বেশি দেখবে সেটা মানুষের উপরেই ছেড়ে দিলে ভালো হয়। প্রত্যেকটা ছবি সমান জায়গা পাক। তারপর দর্শকরাই ঠিক করুন ছবির মান। এইভাবে কোনো ছবিকে কোনঠাসা করলেই তার ব্যবসা নষ্ট হবে ইটা ভাবারও কোনও কারণ নেই এমনও জানিয়েছেন অনেকে। তবে ছবির জগতে এই বৈষম্য বন্ধ হোক এটাই দর্শকদের দাবি।