শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ-খুনের মামলায় (RG Kar Case) অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মন্ডলের জামিন মঞ্জুর করল আদালত। গত সেপ্টেম্বর মাসে চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ-খুনের মামলায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
কিন্তু তাঁদের গ্রেফতারির পর প্রায় ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তাই ৯০ দিনেও সিবিআই চার্জশিট জমা দিতে না পারায় জামিন পেলেন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মন্ডল। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই আরজি কর মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তবে টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মন্ডল এখন জেল থেকে ছাড়া পেলেও সন্দীপ ঘোষ এখনই ছাড়া পাবেন না। কারণ আরজি করের ধর্ষণ-খুনের মামলায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগের পাশাপাশি আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল সন্দীপ ঘোষ। তাই একটা মামলায় রেহাই পেলেও আর্থিক দুর্নীতি মামলার জন্য বর্তমানে জেলেই থাকবেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
এদিকে জানা যাচ্ছে, অভিজিৎ মন্ডল এখন জেল থেকে ছাড়া পেলেও তাঁকে যখনই থানায় ডাকা হবে, তখনই তাঁকে সেখানে উপস্থিত হতে হবে। শুক্রবার ২০০০ টাকা বন্ডের বিনিময়ে জামিন পেয়েছেন সন্দীপ-অভিজিৎ। টালা থানার তৎকালীন ওসির আইনজীবী মহম্মদ সাজিদ জানিয়েছেন, “আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে এখনও কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গ্রেফতারির পরে ৯০ দিন হয়ে গিয়েছে, সিবিআই চার্জশিট দেয়নি। সিবিআই বার বার বলছে, এখনও তদন্ত চলছে। তার অর্থ, আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি।” এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার অভিজিৎ মন্ডল জেল থেকে বেরিয়ে যাবেন। অন্যদিকে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরজি করের ধর্ষণ-খুনের মামলার তদন্ত চলছে।
তাই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে না। এরপরেই জামিন মঞ্জুর হয় সন্দীপ-অভিজিতের। প্রসঙ্গত, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এর আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। পরে আরজি করে ধর্ষণ-খুনের মামলায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মন্ডল।
RG Kar Case: On Friday, the court granted bail to Sandeep Ghosh and Abhijit Mondal, the accused in the RG Kar Medical rape and murder case. In September, the CBI arrested the former principal of RG Kar Medical College and the then officer-in-charge of Tala police station on charges of tampering with evidence in the case involving the rape and murder of a female doctor.