‘শাহ-নাড্ডাকে আগেই সতর্ক করেছিলাম’, বিজেপির ভরাডুবিতে বিস্ফোরক বাবুল

বিধানসভা, লোকসভা আবার উপনির্বাচন…বারবার নির্বাচনে ভরাডুবি হচ্ছে বিজেপির। আর এই ঘটনা সাংগঠনিক তথা দেশীয় স্তরে দলকে যে বিরাট অস্বস্তির মধ্যে ফেলেছে তা আর নতুন করে…

বিধানসভা, লোকসভা আবার উপনির্বাচন…বারবার নির্বাচনে ভরাডুবি হচ্ছে বিজেপির। আর এই ঘটনা সাংগঠনিক তথা দেশীয় স্তরে দলকে যে বিরাট অস্বস্তির মধ্যে ফেলেছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই নিয়ে বর্তমানে রাখঢাক না রেখেই বাংলার হেভিওয়েট নেতারা বিজেপির ফলাফল নিয়ে বড় বড় মন্তব্য করছেন। যেমন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বিজেপির ফলাফল নিয়ে স্বীকার করে নিয়েছেন যে এই সময়ে দাঁড়িয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করার মতো সংগঠন বিজেপির নেই। আর এই নিয়েই এবার আত্মবিশ্বাসের সুরে বড় দাবি করলেন তৃণমূলের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)।

অক্ষরে অক্ষরে তার কথা মিলে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা বাবুল। তিনি গভীর রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সকাল সকাল দাবি করেন, ‘বেশ মজার মানুষ তুমি শমীক ভট্টাচার্য। ২০২১ সালে Westin Hotel-এ শ্রীযুক্ত অমিত শাহ, নাদ্দাজি, কৈলাশজি থেকে আরম্ভ করে সবার সামনে যখন বলেছিলাম যে বেশিরভাগই দিল্লির বড়োবাবুদের মিথ্যে বলছে – মানুষের কাছে বঙ্গ বিজেপি পৌঁছোনর কোনো চেষ্টাই করেনি সংগঠন তো দূর অস্ত ! ৭০/৮০ বেশি আসন পাবেন না – মুকুলদাও তখন আমার সাথে একমত হয়েছিলেন ! কৈ তখন তো সত্যটা স্বীকার করতে লজ্জা করেনি ! উল্টে সত্যি বলার জন্য বাংলার সব বড় বড় নেতারা আসানসোলে আমাকে হারানোর জন্য প্রাণপাত চেষ্টা করেছিলেন ! পারেননি – তিনগুন ভোট জিতেছিলাম ! আর আগামীদিনে কাঁকড়াতে ভরা আপনাদের দলের কি হতে চলেছে লোকসভা আর আজকের ফলাফলে মানুষ তো সেটা দেখিয়েই দিলো !’

   

বঙ্গ বিজেপিকে চরম কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক বলেন, ‘আপনাদের বাংলা ও বাঙালি বিরোধী গদ্দার-পার্টির সব তাবড় তাবড় হনুই তো হেরেছে ! বাংলা থেকে নির্বাচিত আপনাদের জনপ্রতিনিধিরা বাংলার টাকা আটকে দেওয়ার জন্য গলা ফাটাবে এটা মানুষ মেনে নেবেনা – নিচ্ছেও না ! রাজনীতির বাইরে ব্যক্তিগত জীবনে আপনার সাথে একটা cordial সম্পর্ক আছে আর তাছাড়া MP-পদেরও মোহো ছেড়ে ‘ফেলে চলে আসা দলের’ ভেতরের কথা আমার ‘ভেতরেই রেখে দেবো’, এই নীতিটা strictly follow করি তাই আর কিছু বলছিনা !! ওহ BTW, all over the country-তেও বিজেপি গোহারা হেরেছে – score-টাও তো নিশ্চয়ই জানেন ! Repeat করে আর লজ্জা বাড়াচ্ছি না।’

যাইহোক, গতকাল উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি প্রসঙ্গে সাংগঠনিক অক্ষমতাকে স্বীকার করতে ভোলেনি বিজেপি। দলের মুখপাত্র এবং বিজেপি সাংসদ শমীক ভটাচার্য স্বীকার করে নেন, ‘এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করার মতো সংগঠন বিজেপির নেই। এটা স্বীকার করতে আমাদের লজ্জা নেই। আমরা পারিনি সে ধরনের সংগঠন তৈরি করতে। এটা আমাদের ব্যর্থতা।’