শনিবার দুপুরে মথুরাপুরে জনসভা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এইবার মথুরাপুর লোকসভা ভোটের প্রার্থী বাপি হালদারের জন্য প্রচার করলেন। তিনি মঞ্চে উঠেই এইদিন বললেন, “নির্ধারিত সময়ের অনেকটা আগেই চলে এলাম। কারণ সকাল থেকে হোয়াটস অ্যাপে প্রচুর ছবি পেয়েছি, যেখানে দেখতে পেয়েছি প্রচুর মানুষ সকাল থেকে এসে এখানে ভিড় করেছে।তাই এই তীব্র দাহদাহে কাউকে বেশীক্ষণ বসিয়ে রাখতে চাই না।” এই বলে তিনি শনিবার কথা শুরু করলেন।
অনান্য দিনের মতোই তৃণমূল সেনাপতিকে সতেজ এবং চনমনে লাগছিল। তিনি প্রথমেই বললেন, ”এইবার ভোটের ব্যবধান বাড়াতে হবে।” শুধু তাই নয়, তিনি আবার বলেন, ” কথা দিয়ে কথা রাখার তৃণমূল।” তবে তিনি এইবার লোকসভা ভোটে মথুরাপুরের জয়ের ব্যবধান বাড়ানোর কথা বললেন। তাঁর ভাষায়, ” আগেরবার ভোটে আড়াই লাখ ব্যবধান ছিল এইবার সেই ব্যবধান বাড়িয়ে তিন লাখ করতে হবে।” একটু থেমে তিনি আরও বলেন, ” বাংলা বিরোধীদের বাংলা থেকে উৎখাত করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন।”
যদিও এইদিন তিনি তাঁর বক্তব্য দীর্ঘায়িত করেননি। মাত্র আধ ঘণ্টায় তিনি এইদিন মঞ্চ ছাড়েন।সাদা ফুল হাতা জামা গায়ে, কালো স্কার্ফ গলায় ঝুলিয়ে বারেবারে ঘাম মুছতে মুছতে তিনি বিজেপির মিথ্যে প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন। বলেন, ” কানে শুনে ভোট দেবেন না, চোখে দেখে ভোট দেবেন।”
তাঁর গলায় আবার শোনা যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের গুণগান। ‘দিদির গ্যারেন্টির’ কথা তুলে ধরেন এইদিন মথুরাপুরের কুলপির সভায়। তিনি বলেন, ” মথুরাপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব আমার।” যদিও এই কথাটা ঠিক কী অর্থ বহন করে তা নিয়ে চর্চা হতে পারে, বলা যেতে পারে ওই অঞ্চলে কি তৃণমূল সেনাপতির কথাই শেষ কথা?
তবে এইদিন একদম সভা শেষে তিনি আবার শ্বেতপত্রের কথা বললেন। বললেন এতদিন কেটে গেল তবুও কারুর সাহস হল না সামনে এসে দাঁড়াতে!তবে এইদিন তাঁর সভার লক্ষণীয় বক্তব্য, ” যদি কেন্দ্রীয় সরকার আগামী পাঁচ বছর ফ্রীতে গ্যাস দিতে পারে তাহলে বিয়াল্লিশ আসনে প্রার্থী তুলে নেব।” যদিও এই কথাটা কাটাছেঁড়া করলে খুব একটা যুক্তি পাওয়া যাবে কি ?
এছাড়াও তিনি বলেন, ” আধার প্যান কার্ড লিঙ্ক করার নামে এক হাজার টাকা নিচ্ছে আর দিদি সেই এক হাজার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে দিচ্ছে।”তিনি বলেন এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিতে রাজ্যের ২৫হাজার কোটি খরচ হচ্ছে। এছাড়াও তিনি বিজেপি কটাক্ষ করে বলেন,” ২১ থেকে ২৪ অবধি এঁদের এলাকায় দেখা গিয়েছে?”
যদিও এইবার লাগাতার সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নতুন কিছু বলবেন কিনা সেইদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। তবে এত কথার মাঝে বামশিবির নিয়ে একটিও বাক্য খরচ করলেন না তিনি। যেটা বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়।