অভীক দে-কে নিয়ে টানাপোড়ন, বর্ধমান মেডিকেল থেকে বদলি স্ত্রী

আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে ওই হাসপাতালকে ঘিরে যে দুর্নীতি চক্র গড়ে উঠেছিল সেই ছবি…

Avik dey's wife transfer from Burdwan Medical college

আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে ওই হাসপাতালকে ঘিরে যে দুর্নীতি চক্র গড়ে উঠেছিল সেই ছবি বর্তমানে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন ব্যবস্থায় দুর্নীতির পাশাপাশি থ্রেট কালচারের অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। এমন বিতর্কের আবহে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বদলি করা হল অভীক দে-র (Avik Dey Sskm) স্ত্রীকে।

প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি চক্রে প্রথমেই প্রকাশ্যে আসে সেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম। প্রাক্তন অধ্যক্ষের নাম সামনে আসতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই অভীক দে-কে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ওদিকে হাসপাতালের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, সাময়িক ভাবে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

   

পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত জেনারেল সার্জারির স্নাতকোত্তর পড়ুয়া পিজি-তে কোনও ক্লাস করাতে পারবেন না। সেইসঙ্গে কোনও সেমিনার কিংবা জার্নাল ক্লাবেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এমনকি ইমার্জেন্সি কিংবা আউটডোর বা ইন্ডোরে যেমন পরিষেবা দিতে পারবেন না তেমনই অস্ত্রোপচার করতে কিংবা ওয়ার্ডে রাউন্ড দিতেও পারবেন না। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর রাজ্য শাখা এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলও তাঁকে সাসপেন্ড করেছে।

তবে এসবের পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্র পরিষদও সাসপেন্ড করেছে অভীক দে-কে। যখন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ অভীক দে-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মতো অভিযোগ উঠেছে এবং তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ঠিক তখনই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকের পদ থেকে সরানো হল তাঁর স্ত্রী নূপুর ঘোষকে। তাঁকে বদলির নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। আর এই বদলির কারণ হিসেবে রিলিজ অর্ডারে জানানো হয়েছে জনস্বার্থে এই বদলি করা হল। বর্তমানে তাঁকে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।