ওএমআর শিট প্রকাশিত হতেই স্পষ্ট দুর্নীতি, বাড়তে পারে চাকরি বাতিলের সংখ্যা

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই গতকাল ৯৫২ জনের ওএমআর (OMR) শিট প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেখানেও দুর্নীতির বহর নজরে এসেছে। কখনও ভুল উত্তর দিয়ে,…

recruitment corruption in Bengal became clear

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই গতকাল ৯৫২ জনের ওএমআর (OMR) শিট প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেখানেও দুর্নীতির বহর নজরে এসেছে। কখনও ভুল উত্তর দিয়ে, আবার কখনও মাত্র দুটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েই পাশ করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। যা নিয়ে ফের সরব হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরাই৷ নিয়োগের ক্ষেত্রে যাদের অসঙ্গতি রয়েছে, তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেবে আদালত? উঠছে প্রশ্ন।

২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি নজরে এসেছিল কলকাতা হাইকোর্টের। তাই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ আদালতের সেই নির্দেশ মেনে বুধবার ৯৫২ জনের ওএমআর শিট প্রকাশ করল কমিশন৷

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

এর আগে আদালতের নির্দেশে ১৮৩ জনের ওএম লার শিট প্রকাশ করেছিল কমিশন। এরপর আরও ৪০ জনের ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার ৯৫২ জনের ওএমআর শিট প্রকাশ করা হল। তবে আগের মতো সহজে ওএমআর শিট হাতে পাওয়া যাবে না৷ ওএমআর শিট একমাত্র নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েই জানতে পারবে চাকরি প্রার্থীরা।

২০১৬ সালে নবম ও দশম শ্রেনীর শিক্ষক পদে ১৩,৭০০ নিয়োগ হয়েছিল৷ কিন্তু নিয়োগের ক্ষেত্রে চুড়ান্ত বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল চাকরি প্রার্থীরা। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে প্রভাব খাটিয়ে,কারসাজি করে চাকরি পেয়েছেন অনেকেই। অথচ যারা যোগ্য তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই অভিযোগ, সামনে আসতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই চাকরি প্রার্থীদের ওএমআর শিট কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ দেয় আদালত। এখন ওএমআর শিট প্রকাশিত হতেই তা হাতেনাতে প্রমাণিত হল৷

প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই মুহুর্তে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ কমিশনের একাধিক আধিকারিক। মূল অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, এই দুর্নীতির কথা সরকারের কাছে আগেই জানিয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু সরকার তখন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি৷ এখন আদালতের নির্দেশে তা বারবার প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে৷