জেলবন্দি স্বামীকে ছাড়াতে গিয়ে ধর্ষিত, গ্রেপ্তার সেনাকর্মী

ফের এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল শহরবাসী। ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। পার্ক স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া এক অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, এক গৃহবধূকে তাঁর…

Arif Ahmed arrested

ফের এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল শহরবাসী। ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। পার্ক স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া এক অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, এক গৃহবধূকে তাঁর জেলবন্দি স্বামীকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে এক সেনাকর্মী (Army Jawan Arrested)। অভিযুক্ত বর্তমানে অসমে কর্মরত, তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কলকাতার ওয়াটগঞ্জ এলাকা থেকে।

সূত্রের খবর, নির্যাতিতা মহিলার স্বামী বর্তমানে কারাবন্দি। সেই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই অভিযোগকারিণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি জানায়, সে চাইলেই আইনি প্রভাব খাটিয়ে মহিলার স্বামীকে জামিনে ছাড়িয়ে আনতে পারে। এইভাবে বিশ্বাস গড়ে তোলে এবং একাধিকবার দেখা করার অছিলায় মহিলাকে বিভিন্ন স্থানে ডেকে পাঠায়।

   

একটি ঘটনার সময়, অভিযুক্ত সেনাকর্মী একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত পরে ওই ঘটনার ভিডিও তুলে তা ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেয় বলে দাবি নির্যাতিতার। এরপরই সাহস সঞ্চয় করে পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৫০৬ (হুমকি), ও ৪২০ (প্রতারণা)। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে ওয়াটগঞ্জ এলাকা থেকে ওই সেনাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্ত বর্তমানে অসমে কর্মরত হলেও ছুটিতে ছিল এবং সেই সময় কলকাতায় আসে বলে জানা গিয়েছে।

ধৃতকে ইতিমধ্যেই আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনে অসমে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সেনা দপ্তর থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

Advertisements

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ফের নারীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শহর কলকাতায়। এমনকি একজন সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

মানবাধিকার কর্মীদের একাংশের দাবি, নারীকে প্রতারণা করে এমন জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করা হয়েছে, যা শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, সামাজিক আস্থাকেও চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে।

এই ঘটনায় শহরের বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, সেনাবাহিনীর মতো সম্মানীয় পেশায় থাকা কেউ কীভাবে এমন কুকর্মে জড়িয়ে পড়ল?

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার জবানবন্দি অনুযায়ী সমস্ত তথ্য ও প্রযুক্তিগত প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং সম্ভাব্য অন্য কোনও অভিযোগ বা অভিযোগকারিণী রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।