Arms Recovery: অস্ত্র পাচারের ছক ভেঙে দিল এসটিএফ! কলকাতায় অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার ১

কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে আবারও বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। এই অস্ত্রগুলি বিহারের মানসিং জেলা থেকে পাচারের মাধ্যমে কলকাতায়…

Arms Recovered Again at Sealdah Station, One Arrested in Major Smuggling Attempt

short-samachar

কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে আবারও বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। এই অস্ত্রগুলি বিহারের মানসিং জেলা থেকে পাচারের মাধ্যমে কলকাতায় আনা হচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এসটিএফের তৎপরতার ফলে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার নাম হাসান শেখ, এবং তার কাছ থেকে ছটি আগ্নেয়াস্ত্র ও আটটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

   

এদিন সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে এসটিএফের নজরদারি চলছিল। তাদের কাছে আগেই তথ্য ছিল যে, কিছু সন্দেহজনক ব্যক্তি অস্ত্র পাচারের কাজ করছে। সকালে, যখন এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ায়, তখন এসটিএফের তদন্তকারীরা তল্লাশি শুরু করেন। তল্লাশির সময় একটি যুবকের ব্যাগে সন্দেহজনক কিছু দেখতে পেয়ে তা খোলার পর অস্ত্রগুলি উদ্ধার করা হয়। যুবকটি জামাকাপড়ের ভিতর অস্ত্রগুলি লুকিয়ে রেখেছিল।

ধৃত হাসান শেখ মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অস্ত্রগুলি বিহারের খাগারিয়া জেলায় তৈরি হয়েছিল। সেগুলি সড়কপথে মালদহে পৌঁছানো হয়েছিল, এবং এরপর হাটেবাজারে এক্সপ্রেস ট্রেনে করে সেগুলি কলকাতায় আনা হচ্ছিল। এটি একটি পরিকল্পিত পাচার চক্রের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। এসটিএফ এখন ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকে আরও তথ্য বের করার চেষ্টা করছে, এবং সেই সঙ্গে এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরার জন্য অভিযান চালাচ্ছে।

শিয়ালদহ স্টেশন এবং তার আশপাশের এলাকা ইতিমধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের হটস্পট হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এই ঘটনাটি শুধু কলকাতার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্যই নয়, সাধারণ জনগণের জন্যও একটি বড় সতর্কবার্তা। এর আগে, শিয়ালদহ স্টেশন এবং বৈঠকখানা চত্বরে একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, পাচারকারীরা এই রুটটিকে অস্ত্র পাচারের জন্য বেছে নিয়েছে।

এসটিএফের এক কর্মকর্তা জানান, “আমাদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল, তাই আমরা স্টেশন এলাকাতে নজরদারি চালাচ্ছিলাম। আমাদের দল খুব দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে, এবং ধৃত যুবককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।”

তবে, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, এসব অস্ত্র কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং এগুলি ব্যবহৃত হওয়ার পরিকল্পনা কী ছিল? ধৃত যুবকটি কি শুধুমাত্র একটি ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করছিল, নাকি সে নিজেও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল? এসটিএফ এসব প্রশ্নের উত্তর বের করার জন্য তার জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এছাড়া, একে ঘিরে আরও বড় একটি প্রশ্ন উঠেছে। তা হলো, শিয়ালদহ স্টেশনকে কি এখন অস্ত্র পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে? সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনায় এরকম ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরনের অবৈধ পাচার চক্রের সঠিক নকশা খুঁজে বের করার জন্য এসটিএফ আরও তদন্ত শুরু করেছে এবং শিগগিরই এর ব্যাপারে নতুন তথ্য প্রকাশ করতে পারে।

এসটিএফের তৎপরতা এবং কলকাতার বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় তাদের নজরদারি এই ধরনের পাচার চক্রের উপর বড় ধরনের আঘাত হানতে সক্ষম হতে পারে, তবে এখনও অনেক কিছু উদ্ধার করা বাকি রয়েছে। কলকাতা শহরের নিরাপত্তা আরও মজবুত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও মনোযোগ প্রয়োজন।