‘সজলের পুজো বন্ধ মানে রক্তাক্ত হবে বাংলা’, হুঁশিয়ারি অর্জুনের

কলকাতা ২৮ সেপ্টেম্বর: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সেই উৎসবের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। প্রতিবছর এই পুজো দেখতে লাখ লাখ মানুষের ভিড় জমে। কিন্তু…

Arjun Singh Warns of Backlash Over Santosh Mitra Square Puja Restrictions, Supports Sajal Ghosh

কলকাতা ২৮ সেপ্টেম্বর: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সেই উৎসবের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। প্রতিবছর এই পুজো দেখতে লাখ লাখ মানুষের ভিড় জমে। কিন্তু চলতি বছরে পুজো শুরু হওয়ার আগেই বিতর্কের আগুন জ্বলে উঠেছে। পুজো মণ্ডপের প্রবেশ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে ‘সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করার চেষ্টা’ তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ক্লাব কর্তা সজল ঘোষ। এবার এই বিষয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব‌্য করলেন  বিজেপি নেতা অর্জুন সিং (Arjun Singh) ।

Advertisements

গত কয়েকদিন ধরে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো ঘিরে নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। জানা গেছে, পুজো মণ্ডপ ঘিরে এমনভাবে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে না পারেন। এমনকি পুজো দেখতে আসা অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মণ্ডপে প্রবেশাধিকার শুধুমাত্র বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত বা আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করেছে।

   

এই পরিস্থিতিতে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ক্লাবের অন্যতম কর্তা সজল ঘোষ প্রকাশ্যে এসে দাবি করেছেন, “এই ভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী দিনে পুজো করা আমাদের পক্ষে আর সম্ভব হবে না। আমরা সবসময়ই চেয়েছি সাধারণ মানুষ যেন পুজো উপভোগ করতে পারে। কিন্তু যেভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাতে আমরা হতাশ।” তাঁর এই মন্তব্যেই স্পষ্ট, ক্লাবের পক্ষেও পরিস্থিতি দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে।

এই পরিস্থিতিতে এবার রাজনৈতিক স্তরে প্রতিক্রিয়া এল বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের তরফে। তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সজলের পুজো বন্ধ হলে বাংলায় আগুন জ্বলবে। এটা শুধু একটা ক্লাবের পুজো নয়, এটা বাংলার সংস্কৃতির প্রতীক। সেখানে বাধা মানে সাধারণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত। মানুষ সেটা কখনও মেনে নেবে না।”

অর্জুন সিং আরও বলেন, “বর্তমান সরকারের প্রশ্রয়ে কিছু শক্তি চেষ্টা করছে বাংলার সনাতন সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার। পুজো বন্ধ করাটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা একটা পরিকল্পিত আক্রমণ। মানুষ যদি পথে নামে, তার দায় কে নেবে?”

তবে এই বিষয় নিয়ে শাসক দল এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, এই বিতর্ককে ঘিরে আগামী দিনে রাজনীতির পারদ আরও চড়তে চলেছে। বিশেষ করে যেখানে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে দেখা হয়, সেখানে এমন ধরনের ঘটনা রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।