গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডিকে সবুজ সংকেত দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ আদালত। কিন্তু দিল্লি যাত্রা আটকাতে মরিয়া কেষ্ট। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী তৃণমূল নেতার আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়কে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আদালত সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল ৩টেয় শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।
শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্ট নয়, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের হাজিরা ঠেকাতে দিল্লি হাইকোর্টের মামলাও দায়ের করা হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। আদালত সূত্রে খবর, প্রধান বিচারপতি দ্রুত এই শুনানির আর্জি জানিয়েছেন। শুক্রবার সেখানেও শুনানির সম্ভাবনা।
অনুব্রতকে দিল্লিতে হাজিরা করানোর জন্য পরোয়ানা কেন জারি করা হয়নি? দুই দিনের মধ্যে হাজির করানোর জন্য নির্দেশ দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।সমস্ত তৎপরতা শুরু করা হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ।
গরুপাচার মামলায় ১১ অগাস্ট বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে একাধিক তথ্য পেয়েছে সিবিআই ও ইডি। বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি নিয়ে বারবার সন্দেহ হয়েছে সিবিআই ও ইডির। অভিযোগ, একাধিক তথ্য গোপন করছেন অনুব্রত। সেকারণেই তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিল ইডি।
এমনকি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে উপস্থিত হয় ইডি। সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় অনুব্রত মণ্ডল। আগামী ১৭ তারিখ মামলার শুনানি রয়েছে। এর মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে হাজির করানোর জন্য মঙ্গলবার আরও একটি শমন জারি করে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সেই নির্দেশ বুধবার আসানসোল সংশোধনাগারে ইমেল মারফত পাঠায় ইডি। এর পরই বৃহস্পতিবার অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন করেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। সেই অনুমতি মিলেছে।