দীর্ঘদিন ধরে চলছিল জল্পনা ও টালবাহানা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সোমবার দিল্লিতে (Amit Shah Metting) বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বৈঠক শুধুমাত্র সৌজন্যমূলক নয়, বরং আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা এবং ২০২৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির নিরিখে ছিল একেবারে কৌশলগত।
উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয়(Amit Shah Metting) (Amit Shah Metting) সভাপতি জেপি নাড্ডা, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডে, সতীশ ধুন্দ, আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী।(Amit Shah Metting)
বাংলায় তৃণমূলের কৌশল এবং বিজেপির প্রস্তুতি
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বৈঠকে অমিত শাহ স্পষ্ট করে নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলায় বিজেপিকে আরও আঞ্চলিক রূপে গড়ে তুলতে হবে। তৃণমূল যেভাবে ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জনের মাধ্যমে ‘বাঙালি অস্মিতা’ ও ‘ভূমিপুত্র’ তত্ত্বকে সামনে আনছে, তার জবাব দিতে হবে রাজ্য বিজেপিকে। শাহ জানিয়েছেন, ২০২১ সালের নির্বাচনে ‘বহিরাগত’ ইস্যুতে অনেকটা জমি হারিয়েছিল বিজেপি। এবার সেই ভুল যেন না হয়, সে ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।(Amit Shah Metting)
কী কী বললেন অমিত শাহ?
প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে চলা বৈঠকে অমিত শাহ একাধিক কৌশলগত দিক নির্দেশ করেন।(Amit Shah Metting)
প্রথমত, জেলা ভিত্তিক সংগঠনকে মজবুত করা হবে প্রধান লক্ষ্য। স্থানীয় নেতৃত্বকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে মানুষের সঙ্গে বেশি করে যুক্ত হতে হবে।(Amit Shah Metting)
দ্বিতীয়ত, প্রতি মুহূর্তে প্রচারে তুলে ধরতে হবে যে বিজেপি বাংলা বিরোধী নয়। বাংলা সংস্কৃতি, ভাষা এবং ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রচার করতে হবে। তৃণমূলের বাঙালি বনাম বহিরাগত তত্ত্বের ফাঁদে যেন আর না পড়ে রাজ্য বিজেপি, তার জন্য রণকৌশল নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন শাহ।
তৃতীয়ত, তৃণমূলের ‘ভোটার তালিকা সংস্কার’-এর মতো পদক্ষেপকে নির্বাচনী কারচুপি বলেই তুলে ধরতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে উপযুক্ত তথ্য ও প্রচার কৌশল।(Amit Shah Metting)
সাংগঠনিক কাঠামোর পুনর্বিন্যাস
বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়েও (Amit Shah Metting) আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, রাজ্যস্তরে বারবার নেতৃত্ব বদল এবং অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সাংগঠনিক কাঠামো ঢেলে সাজানোর কথাও উঠে এসেছে। বিশেষত জেলা পর্যায়ের নেতৃত্ব ও যুব মোর্চাকে আরও সক্রিয় ও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়তা
অমিত শাহ স্পষ্ট বলেছেন, এখনকার (Amit Shah Metting) রাজনীতি অনেকটাই সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর। তাই আইটি সেলের কার্যকারিতা আরও বাড়াতে হবে। বাংলার সংস্কৃতি ও বিজেপির স্থানীয় উদ্যোগগুলিকে তুলে ধরার জন্য বিশেষ প্রচার অভিযান চালানোর কথাও বলা হয়েছে।