Sealdah: নির্ধারিত সময়ের আগেই ১২ কোচের ট্রেন! খুশির হাওয়া শিয়ালদহ মেন শাখায়

আদিত্য ঘোষ, শিয়ালদহ- কৃষ্ণনগর লোকাল থেকে: ১লা জুলাই আসতে দেরী। আপনার ব্যাংকে মাইনে ঢোকার কথা আলোচ্য বিষয় নয়। বরং ১লা জুলাই থেকে শিয়ালদহ মেন শাখায়…

one-after-another-local-train-canceled-in-sealdah-passenger-suffering-is-extreme

আদিত্য ঘোষ, শিয়ালদহ- কৃষ্ণনগর লোকাল থেকে: ১লা জুলাই আসতে দেরী। আপনার ব্যাংকে মাইনে ঢোকার কথা আলোচ্য বিষয় নয়। বরং ১লা জুলাই থেকে শিয়ালদহ মেন শাখায় (Sealdah main division) সব ট্রেন ১২ বগির হবে এই আনন্দে অপেক্ষারত লক্ষ লক্ষ নিত্যযাত্রীরা। দিনের শেষে ঘেমেনেয়ে বাড়ির ফেরার সময় একটু শান্তিতে যাতে যাওয়া যেতে পারে। এই আশাটুকু নিয়ে বুক বাঁধছে অসংখ্য নিত্যযাত্রীরা। কথিত আছে ভারতীয় রেল সবকিছুতেই লেট। কিন্তু ১লা জুলাই থেকে ১২ বগির ট্রেন শুরু হওয়ার বদলে সপ্তাহের শেষ থেকে প্রায় সব ট্রেনেই ১২ বগির করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, নতুন মডেলের অত্যাধুনিক কোচও পাওয়া গিয়েছে বলে জানাল যাত্রীদের একাংশ।

হাসপাতালে কর্মরত অখিলেশ বসু কলকাতা ২৪x৭ কে জানালেন, ” এটা আশা করিনি। এত তাড়াতাড়ি সব ট্রেনই ১২ কোচের হয়ে যাবে। এমনিতে তো প্রচুর সুবিধা হবে। বিশেষত সপ্তাহের প্রথম দিকে ট্রেনে যে পরিমাণ ভিড় হয়, সেই ভিড় থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।” প্রাইভেট টিউশনি থেকে ফেরত কাবেরী নাগ জানালেন, ” সন্ধের পর এত ভিড় হয় যে শিয়ালদহ ছাড়া ট্রেনে ওঠাই যায় না। বিশেষত লেডিস কামড়ায় প্রচুর ভিড় হয়, সেই ভিড়টা একটু লাগু হবে।” প্রসঙ্গত সব ট্রেন বারো কোচের হওয়ার ফলে একটি ট্রেন অনেক প্যাসেঞ্জার বেশী বহন করতে পারবে। রেলের দেওয়া হিসেব অনুসারে প্রায় হাজার খানেক যাত্রী বেশী বহন করতে সক্ষম হবে। কিন্তু সময়ের আগেই প্রায় সব ট্রেন বারো কোচের হওয়ার ফলে খুশির হাওয়া যাত্রীদের মধ্যে।

   

তবে পাশাপাশি অভিযোগও উঠে এল অনেক। শশধর মল্লিক জানালেন যে, ” সবই তো করছে, কিন্তু কতদিন চালাতে পারবে? এত বারো কোচের ট্রেন আছে শিয়ালদহ মেন শাখায়?”  পেশায় পুলিশ একজন যাত্রী জানালেন, ” রেলের সুরক্ষা নিয়ে কী হবে? বারো কোচের ট্রেন হলেও সেখানেও তুমুল ভিড় হবে। পকেটমারের সংখ্যা বাড়বে, ইফটিজিং বেশী হবে, তখন?” সময়ের আগে প্রায় সব ট্রেন ১২ কোচের হওয়ার ফলে এক মহিলা যাত্রী খুশি হয়ে বললেন, ” এত তাড়াতাড়ি কী করে সব ট্রেন ১২ কোচের চালু হল? পরে ভোগাবে না তো?”

শিয়ালদহ মেন শাখায় যে পরিমাণ ভিড় হতো, সেই ভিড় কিছুটা হ্রাস পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিছুটা হলেও আরামে যাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেল চালকের বক্তব্য, রেল আগেভাগে প্রায় সব ট্রেন ১২ বগির করে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করছে যাতে আগামীতে সব ঠিকঠাক থাকে। অনেক যাত্রীই রেলকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন এই উদ্যোগের জন্য।