দমদম: শারদোৎসবের আবহে এবার রাজনৈতিক উত্তাপও কিছুটা চড়েছে দমদমে। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek banerjee) সম্ভবত এই বছরের দুর্গাপুজোয় দমদমের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন। তিনি জয়পুরের জায়শ্রী ক্লাব এবং অশ্বিনীনগর বন্ধুমহল ক্লাবের পুজো ঘুরে দেখলেন। তবে সেই সঙ্গে সব থেকে বড় চমক হল তিনি সাধারণ মানুষের মতো লাইনে ফুচকা খেলেন।
সাধারণত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খুব বেশি জনসমাগম বা বড় অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে দূরেই রাখেন। বিশেষত দুর্গাপুজোর সময়ে তাঁর সরাসরি মণ্ডপে উপস্থিত থাকার নজির খুব বেশি নেই। সেই কারণেই এবারের সম্ভাব্য সফর নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা, গুঞ্জন ও বিশ্লেষণ।
দু’টি পুজো মণ্ডপই দমদম অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী। জায়শ্রী ক্লাব বিগত কয়েক বছর ধরেই তাদের থিম-ভিত্তিক পুজো এবং সামাজিক সচেতনতা মূলক বার্তার জন্য খ্যাত। অন্যদিকে, অশ্বিনীনগর বন্ধুমহল ক্লাবের পুজোও স্থানীয় মানুষের মধ্যে এক ভিন্ন আবেগ তৈরি করে।
এই ধরনের পুজো মণ্ডপগুলি শুধু উৎসব উদযাপনই করে না, বরং এলাকার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রতিফলনও ঘটায়। ফলে অভিষেকের এই পরিদর্শন নিছক শুভেচ্ছা বিনিময় নয়, বরং এর মাধ্যমে রাজনৈতিক বার্তাও দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। এরই মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের মণ্ডপ পরিদর্শনকে দলের তরফে ‘জনসংযোগ বাড়ানোর কৌশল’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। একজন বর্ষীয়ান রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “অভিষেক নিজে যেভাবে অভ্যন্তরীণ দলীয় সংগঠনে মনোনিবেশ করেছেন, তাতে তাঁর মণ্ডপ পরিদর্শন শুধুই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়। এটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলিতে উপস্থিতির বার্তা। দমদম এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী হলেও কিছু জায়গায় বিরোধীদের দাপট রয়েছে। অভিষেকের এই সফর কর্মীদের মনোবল বাড়াবে।”
জায়শ্রী ক্লাবের সম্পাদক বলেন, “আমরা সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমাদের ক্লাবের গর্বের বিষয় তিনি এসেছেন। আমরা চাই এই পুজোকে ঘিরে সমাজে একতা, শান্তি ও সংস্কৃতির বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক।”