কলকাতা: মহালয়ার দিনে গুলির (Firing) শব্দে কেঁপে উঠল দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট এলাকা। দেশপ্রাণ শাসমল রোডের একটি জিমকে লক্ষ্য করে রবিবার বেলা ১২ টা নাগাদ দুই রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। জানা গিয়েছে, ছুটির দিনের সকালে ‘দ্য কালচার’ নামক ওই জিমে প্রায় ১০-১২ জন শরীরচর্চা করছিলেন। হঠাৎ রেইনকোট জাতীয় পোশাক পরিহিত দুজন জিমের রিসেপশনে এসে মালিক জয়ের খোঁজ করে।
রিসেপশনের কর্মী মালিককে ডাকতে গেলে পরপর দু’রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লাল্বাজের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুটি বাইকে করে চারজন যুবক আসে। তাঁরা রেইনকোট এবং হেলমেট পরে ছিলেন। ওদের মধ্যে দুজন জিমের মালিক জয়কে খুঁজতে উপরে উঠে যায়। বাকি দুজন বাইকের কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন।
উপরে পর পর দুই রাউন্ড গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। তারপর উপর থেকে বাকি দুজন নেমে আসতেই ওই চার দুষ্কৃতি চম্পট দেয়। ঘটনায় জিমে শরীরচর্চা করতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে দুষ্কৃতিদের দ্রুত গ্রেফতার করার আশ্বাসও দেন আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর বাইপাস-সংলগ্ন গুলশান কলোনিতেও ভর সন্ধ্যেবেলায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কার্যত দাপাদাপি করতে দেখা যায় দুষ্কৃতিদের। গুলশান কলোনির অটো স্ট্যান্ডের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, বাইকে চড়ে একদল দুষ্কৃতি এসে পরপর গুলি চালাতে থাকে, ছোঁড়া হয় বোমা। ভয়ে দোকানপাট বন্ধের তোড়জোড় শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র এলাকায়। সন্ধ্যায় বেশ কিছুক্ষণ তাণ্ডব করে চলে যায় তাঁরা। ফের মাঝরাতে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতিরা। পুলিশের ব্যর্থতা এবং শাসকদলের ‘দুষ্কৃতি-পোষণের’ অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা।
গুলশান কলোনির ঘটনার পর তৃনমূলকে “খুনি-মাস্তান-গুন্ডাদের সরকার বলে কটাক্ষ” করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার মহালয়ার দিনে-দুপুরে শহরের জনবহুল ব্যস্ত এলাকায় এভাবে দুষ্কৃতিদের গুলি চালানোর ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে তিলোত্তমার নিরাপত্তা।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
