পুণ্যার্থীদের আনন্দে ভরে উঠল দিঘা জগন্নাথ মন্দির, শুরু হল পুজো

প্রতি বছর জগন্নাথ মন্দিরের স্নানযাত্রা এবং রথযাত্রা উৎসব বাংলার (Digha Jagannath Temple) হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এক বিশেষ ধর্মীয় উৎসব হয়ে থাকে। এই বছরও এক বিশেষ…

after-15-days-of-closure-digha-jagannath-temple-reopens-gates-for-devotees

প্রতি বছর জগন্নাথ মন্দিরের স্নানযাত্রা এবং রথযাত্রা উৎসব বাংলার (Digha Jagannath Temple) হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এক বিশেষ ধর্মীয় উৎসব হয়ে থাকে। এই বছরও এক বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী হলেন হাজার হাজার ভক্ত। স্নানযাত্রার পর ১৫ দিন ‘অনসরে’ ছিলেন প্রভু জগন্নাথ, যার ফলে সাধারণ মানুষের(Digha Jagannath Temple) জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ ছিল। এই ১৫ দিন ছিল এক ধরনের বিরতির সময়, যেখানে প্রভু নিজের শরীরের সাস্থ্য পুনরুদ্ধার করছিলেন। তবে, বৃহস্পতিবার ভোরে সেই ‘অনসর’ পর্ব শেষ হওয়ার পর মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং দর্শনের জন্য ভক্তদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়(Digha Jagannath Temple) 

এই দিনটি ছিল এক নতুন সজায় প্রভু জগন্নাথের দর্শন। তাঁর(Digha Jagannath Temple) নতুন সাজে সাজানো হয় এবং পূজা আর্চনার পর তাঁকে নতুন পোষাক পরানো হয়। এই সাজের মধ্যে ছিল ফুলের মালা, নতুন সোনালি পোষাক এবং অভিজ্ঞান পদ্ম, যা তাঁর মহিমা ও পূজনীয়তার প্রতীক। ভোর ৫টা থেকেই মন্দিরের মূল দরজার সামনে ভক্তরা ভিড় জমান এবং সবার মুখে ছিল এক বিশাল আনন্দের হাসি, কেননা দীর্ঘদিন পর তারা প্রভু জগন্নাথকে আবার দেখা পেলেন।(Digha Jagannath Temple) 

   

প্রথানুসারে, স্নানযাত্রার পর প্রভু জগন্নাথ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে(Digha Jagannath Temple) বিশ্রাম নিতে হয়। এরপর ১৫ দিন পর তিনি আবার সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই ১৫ দিন পর পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেন জগন্নাথ, এবং তাঁর জন্য বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। মন্দিরের পূজারি ও সেবায়েতরা সকাল থেকে প্রভুকে ঘুম থেকে তুলে দাঁত মাজান, নতুন সাজে তাঁকে সাজানো হয় এবং নানা ধরনের পূজার্চনা শুরু হয়(Digha Jagannath Temple) 

এদিন, জগন্নাথ দেবের জন্য বিশেষ ৫৬ ভোগের(Digha Jagannath Temple) আয়োজনও করা হয়। ভোগে ছিল নানা ধরনের খাবার, যা বাংলার ঐতিহ্যবাহী পদের সমাহার ছিল। মন্দিরের পক্ষে জানা গেছে, এই ভোগে ভাজা, খিচুড়ি, ডাল, সুক্তো, মোচা দিয়ে তরকারি, পটলের তরকারি,(Digha Jagannath Temple) বৈতালের ঘন্ট, পায়েস, মিষ্টি এবং বাংলার নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার থাকবে। এছাড়া, বিদেশি ভক্তরা নিজের হাতে প্রভুর পছন্দের খাবার তৈরির আয়োজন করেছেন। তাঁরা এমন কিছু খাবার তৈরি করবেন যা প্রভুর বিশেষ পছন্দের(Digha Jagannath Temple) 

এদিনের পূজার্চনা ছিল যথাযোগ্যভাবেই(Digha Jagannath Temple) ধুমধাম এবং আধ্যাত্মিক আনন্দে পূর্ণ। সকাল ৭টায় পূজার্চনার পর প্রভুকে প্রাতঃরাশ দেওয়া হয় এবং নাম সংকীর্তন চলে। এরপর শুরু হয় নানা ধরণের ভক্তিমূলক কার্যক্রম, যা মানুষের আত্মা ও মনকে এক নতুন শক্তি ও শান্তি দেয়। প্রভু জগন্নাথের দর্শন করার জন্য ভক্তরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসে পৌঁছান, আর সেই দিনটি ছিল এক মহান পবিত্রতা ও ধর্মীয় উত্সাহের দিন(Digha Jagannath Temple) 

Advertisements

এই দিনটি ছিল নেত্র উৎসবেরও একটি অংশ, যা ছিল মঙ্গলারতি পর্বের মাধ্যমে শুরু হয়। বিকেলে রশি পুজো অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিশেষভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অংশ নেন। তিনি সেই সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ করে রথযাত্রার সূচনা করতে। শুক্রবার ছিল মূল রথযাত্রার দিন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রথযাত্রার সূচনা করেন(Digha Jagannath Temple) 

এই বছর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার জন্য দিঘায় আগত বিদেশি ভক্তদের মধ্যে ৫০ জনের বেশি বিদেশি ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা এই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে(Digha Jagannath Temple) অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলা সংস্কৃতির প্রতি তাদের আগ্রহ ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন।

রথযাত্রা ও স্নানযাত্রার মতো বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব কেবল মাত্র এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও। এই অনুষ্ঠানগুলো আমাদের সংহতি ও ঐক্যের এক শক্তিশালী বার্তা প্রদান করে। ধর্মীয় বিশ্বাসের পাশাপাশি, এই উৎসবগুলো আমাদের শিকড়ের সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্ক স্থাপন করতে সহায়তা করে(Digha Jagannath Temple) 

আল্লাহর শাশ্বত কৃপায় ও সবার আস্থা এবং বিশ্বাসের ফলে, এ বছরও জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা ছিল এক স্মরণীয় ঘটনা, যা রইলো সকলের মনে এক দীর্ঘকাল ধরে।(Digha Jagannath Temple)