নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া ভারতে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে গর্ভপাত করতে হয়। চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া গর্ভপাত করা আমাদের দেশে আইনত অপরাধ। কিন্তু গর্ভপাত সংক্রান্ত সেই নিয়মে এবার কিছু রদবদল করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৪ সপ্তাহের মধ্যে বিশেষ ধরনের মহিলারা গর্ভপাত করাতে পারবেন।
কেন্দ্র জানিয়েছে, ধর্ষিত, বিকলাঙ্গ, নির্যাতিতা মহিলাদের ক্ষেত্রে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতের এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ২০২১ সালে মেডিকেল টার্মিনেশন আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী এই বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, ধর্ষণের শিকার হওয়া মহিলারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ করে থাকেন। অনিচ্ছাসত্ত্বেও সেই সন্তানকে জন্ম দেওয়া তাঁদের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। সেই কষ্টের ভার লাঘব করতেই কেন্দ্র এই বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে শুধু ধর্ষিতারাই নন, বিশেষভাবে সক্ষম, বিধবা, বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া মহিলা, নাবালিকা এবং যারা মানসিকভাবে অসুস্থ, এমনকী, সন্তান জন্ম দিতে গেলে যে সমস্ত মহিলার মৃত্যু হতে পারে তাঁরাও এই আইনের আওতায় আসবেন। এ ধরনের মহিলারা গর্ভধারণ বা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করাতে পারবেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে সংসদের বাজেট অধিবেশনে এই বিল পাস হয়েছিল। বিল পাস হওয়ার পর যথানিয়মে তা আইনে পরিণত হয়েছে। পুরনো আইনে অবাঞ্ছিত ক্ষেত্রে গর্ভপাতের সময়সীমা ছিল ১২ সপ্তাহ। অর্থাৎ কেউ অবাঞ্চিত গর্ভধারণ করে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করাতে পারতেন।
তবে দুই চিকিৎসকের বিশেষ পরামর্শ এবং আদালতের নির্দেশ পেলে সর্বোচ্চ ২০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করানো যেত। কিন্তু সেই সময়সীমা বাড়িয়ে এবার ২৪ সপ্তাহ করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে বহু মহিলা উপকৃত হবেন। বিশেষ করে যারা অবাঞ্ছিত সন্তানের জন্ম দিতে বাধ্য হতেন তাঁরা এই আইনের ফলে বিশেষ উপকৃত হবেন।