কলকাতা, ১ অক্টোবর: নবমীর বিকেলে মণ্ডপে মণ্ডপে পুজো দেখতে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) । কিন্তু এবারের প্যান্ডেল পরিদর্শন শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষেত্রের এক নেতা হিসেবে নয়, বরং এক ব্যক্তি, এক বাবা হিসেবে তাঁকে আরও আলাদা করে তুলেছে। এবারের বিশেষত্ব ছিল—মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তিনি চালতাবাগানের মণ্ডপে যান, যেখানে একদিকে যেমন পূজার সুর-সজ্জা, অন্যদিকে ছিল বাংলার ভাষার বিবর্তন এবং সংস্কৃতির নিদর্শন।এরপর তিনি ত্রিধারার পুজো মন্ডপও ঘুরে দেখেন।
চালতাবাগান মণ্ডপটির থিম ছিল “বাংলা ভাষার বিবর্তন”। মণ্ডপের চারপাশে এমন কিছু প্রতীকী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছিল, যা বাংলা ভাষার আদি অবস্থা, তার বিকাশ এবং আধুনিক বাংলার চেহারা তুলে ধরছিল। যেমন, মণ্ডপের একপ্রান্তে ছিল প্রাচীন বাংলা লেখার নিদর্শন, যা প্রাচীন গ্রন্থ এবং কবিতায় ব্যবহার হয়েছিল। সেখানে বাংলা সাহিত্যের নানা মহারথীদের ছবি ছিল—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সহ আরো অনেক দিকপাল সাহিত্যিকদের উপস্থিতি ছিল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মণ্ডপ পরিদর্শন শুধুমাত্র এক রাজনৈতিক কর্মীর মতো ছিল না, বরং তিনি যে বাংলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল, তা বোঝা যায়। তাঁর ভাষায়, “বাংলা ভাষার সঠিক সম্মান এবং তা সংরক্ষণের বিষয়টি আমাদের সকলের দায়িত্ব। বাংলার সংস্কৃতির যে বৈচিত্র্য, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এদিন অভিষেকের সঙ্গে তাঁর কন্যাও উপস্থিত ছিলেন, যা এক দারুণ পিতৃ-পুত্রী সম্পর্কের নিদর্শন। বাংলার ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার বিষয়ে অভিষেক বারবার তাঁর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তাঁর মতে, নবমী শুধু ধর্মীয় উদযাপন নয়, এটি একটি সংস্কৃতির পুনঃসংস্করণের সময়।
নবমীর দিনটি এই ভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকল, যেখানে বাংলা ভাষার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, এবং আধুনিক চেতনাকে একত্রিত করে এক নতুন যুগের সূচনা ঘটানোর কথা মনে করিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।