লোকসভা ভোটের পর এখন রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সামনে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রাখতে হলে এবার শুরু থেকেই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে দল। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) একের পর এক সাংগঠনিক জেলা ধরে বৈঠকে বসছেন। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার ক্যামাক স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত হবে দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
জেলা ধরে বৈঠকের সিদ্ধান্ত কেন
তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের মতে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় সত্ত্বেও সংগঠনের কিছু দুর্বলতা সামনে এসেছে। বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলায় অন্তর্কলহ, শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং বিজেপির প্রচার কৌশল মোকাবিলার মতো একাধিক সমস্যা রয়েছে। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করেছেন, এক একটি সাংগঠনিক জেলায় আলাদা বৈঠক করে তৃণমূলের সংগঠনকে আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী করতে হবে। প্রতিটি জেলায় ভোট প্রস্তুতি, সংগঠনের বর্তমান অবস্থা এবং বিজেপির কৌশল মোকাবিলা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
দমদম-ব্যারাকপুরে বিশেষ গুরুত্ব
তৃণমূলের কাছেদমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই অঞ্চলটি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল। এখানে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, শিল্পাঞ্চল ও নতুন ভোটারদের উপস্থিতি এই এলাকার নির্বাচনী সমীকরণে বড় ভূমিকা পালন করে।২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এই জেলায় ভালো ফল করলেও, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট বৃদ্ধি তৃণমূলের কাছে বড় সতর্কবার্তা। তাই এবার থেকে সংগঠনকে বৃহত্তর ভোট ব্যাংক ধরে রাখা এবং বিজেপির প্রভাব কমানো—এই দুই লক্ষ্যেই কৌশল সাজাচ্ছে দল।
বৈঠকে থাকছেন কারা
সূত্রের খবর, আগামী সোমবার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন:
দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সকল তৃণমূল ব্লক সভাপতি
যুব তৃণমূল নেতৃত্ব
মহিলা তৃণমূলের প্রতিনিধিরা
টিএমসিপি ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব
কয়েকজন জেলা পর্যবেক্ষক ও বিধায়ক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা
তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে জেলাস্তরের নেতাদের কাছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন:
- সংগঠন শক্তিশালী করা** — বুথস্তর থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত সংগঠনকে নতুন করে সাজানো।
- অন্তর্কলহ এড়ানো — দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব যেকোনও মূল্যে বন্ধ করতে হবে।
- বিজেপির কৌশল মোকাবিলা — সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও জনসংযোগ কার্যক্রম বাড়াতে হবে।
- যুব ভোটারদের কাছে পৌঁছনো— নতুন প্রজন্মকে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত করতে বিশেষ প্রচার শুরু হবে।