অবশেষে লোকসভায় দলের নেতৃত্বে বড়সড় রদবদল করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (Abhishek Banerjee) দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে লোকসভায় নিয়মিতভাবে উপস্থিত থাকতে পারছেন না বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সংসদে দলের সাংসদদের ভূমিকা, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও কৌশলগত উপস্থিতি ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছিল।(Abhishek Banerjee)
এই প্রেক্ষিতে সোমবার তৃণমূলের শীর্ষস্তরের(Abhishek Banerjee) বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানান, রাজ্যসভায় দলের সাংসদরা যথাযথ ভূমিকা পালন করলেও, লোকসভায় সেই সজাগ ও দৃঢ় উপস্থিতি চোখে পড়ছে না। আর তার জেরে বিরোধিতা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নানা ইস্যুতে সংসদে কার্যকর প্রতিক্রিয়া তুলে ধরতে পারছে না তৃণমূল(Abhishek Banerjee)
এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের(Abhishek Banerjee) দিকটি মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নেন। আপাতত লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা হয়নি, তবে দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে অভিষেককেই এই দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন দলনেত্রী।(Abhishek Banerjee)
এই সিদ্ধান্তের একটি রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। একদিকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিজ্ঞ নেতার পরিবর্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো comparatively তরুণ সাংসদের কাঁধে দলের(Abhishek Banerjee) লোকসভা নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া, দলের মধ্যে প্রজন্মগত রদবদলের ইঙ্গিত বহন করে। অপরদিকে, ২০২৪-২৫ সালের সংসদীয় অধিবেশনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের ‘INDIA’ জোট এবং বিজেপির ‘ভারত’ প্রচারের মাঝে তৃণমূলের পক্ষে সংসদে শক্তিশালী বার্তা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেকের যুক্তি ও ধারালো বক্তৃতাশৈলী, তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং জাতীয় স্তরে সক্রিয় ভূমিকা—সব মিলিয়ে তাঁকে লোকসভা নেতৃত্বে আনার পিছনে কৌশলগত পরিকল্পনাও রয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।(Abhishek Banerjee)
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দলের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক দায়িত্বে রয়েছেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে শুরু করে যুব তৃণমূল, এরপর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়ে সংগঠনের রাশ অনেকটাই তাঁর হাতেই রয়েছে। এবার লোকসভায় দলের সাংসদদের দিকনির্দেশ দেওয়ার দায়িত্বও তাঁর কাঁধে এল। এটা একপ্রকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিশ্বাস’ ও ‘ভবিষ্যতের প্রস্তুতি’ বলেই অনেকে মনে করছেন।(Abhishek Banerjee)
এতদিন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতার দায়িত্বে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির অভিজ্ঞতা, দিল্লির রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সুসম্পর্ক—সবটাই দলের পক্ষে লাভজনক ছিল। কিন্তু তাঁর অসুস্থতার কারণে দলে নেতৃত্বের এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হচ্ছিল, যা সংসদের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছিল বলে দলের অন্দরেই অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল(Abhishek Banerjee)
অভিষেকের নেতৃত্বে লোকসভায় তৃণমূল সাংসদরা আরও সক্রিয় হবেন কি না, সংসদে দলের কণ্ঠস্বর কতটা জোরদার হবে—তা সময়ই বলবে। তবে রাজনৈতিকভাবে এটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার, অভিষেক এই নতুন দায়িত্ব কীভাবে সামলান এবং লোকসভায় তৃণমূলের অবস্থানকে কতটা দৃঢ় করতে পারেন।(Abhishek Banerjee)