মমতার হাতে অভিষেকের রিপোর্ট, ২০২৪ নির্বাচনের পর ‘কর্মহীন’ নেতাদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক কার্যক্রমের মধ্যে আবারও এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সূচনা হয়েছে। দলের উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্ব, বিশেষ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), এখন…

Abhishek Banerjee Submits List of TMC Workers Not Involved in Lok Sabha Campaign to Mamata Banerjee

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক কার্যক্রমের মধ্যে আবারও এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সূচনা হয়েছে। দলের উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্ব, বিশেষ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), এখন থেকেই দলের কর্মীদের কার্যক্ষমতা নিয়ে নজর দিচ্ছেন।

ইতিমধ্যেই তিনি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পর দলভিত্তিক কর্মীদের কাজের অগ্রগতি নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন, এবং সেই রিপোর্ট তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন।

   

এই রিপোর্টে এমন কর্মীদের নাম রয়েছে যারা নির্বাচনের সময় যথাযথভাবে দলের জন্য কাজ করেননি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন যে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দলের কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, “যারা দলের হয়ে কাজ করছেন, তাদের চিন্তা করার কিছু নেই, কিন্তু যারা কাজ করেননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দলের এই কঠোর অবস্থান থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে, আগামীদিনে তৃণমূলের সাংগঠনিক দিকটি অনেক বেশি কার্যকর এবং দায়িত্বশীল হবে।

Advertisements

এবার, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ব্যাপক জিতলেও, কিছু এলাকাভিত্তিক ফলাফলে দলের অবস্থান সন্তোষজনক ছিল না। কিছু ওয়ার্ডে দলের কর্মীরা যথাযথভাবে কাজ করেননি, যার ফলে ফলাফল প্রত্যাশিত হয়নি। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) দলের কর্মীদের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফলের কারণ খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়েন এবং কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পর ব্লক সভাপতি এবং জেলাপতি নির্বাচন হবে।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের জন্য এই ধরনের পর্যালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই সাংগঠনিক রদবদলের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন এবং জানিয়েছেন, দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেছিলেন, “যারা দলের কথা ভাবছেন, তাদের কোনো চিন্তার কারণ নেই। তবে যারা দলের জন্য কাজ করেননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই সুরক্ষা ও দায়িত্ববোধের বার্তা দলের কর্মীদের মধ্যে স্পষ্টভাবে পৌঁছে যাচ্ছে। এমনকি, দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দও জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে দলের কার্যক্রম আরও কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এদিকে, দলের সাংগঠনিক রদবদলের সঠিক সময় ঠিক করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তবে, অভিষেকের মতে, এই পরিবর্তনটি দলের স্বার্থে এবং দলের কর্মীদের আরও কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন এবং তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের এমন পরিকল্পনা দলকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে, এটি নিঃসন্দেহে বলাই যায়। এখন দলের কর্মীরা যদি গতানুগতিক কাজ করতে চান, তবে তাঁদের জন্য কঠোর ব্যবস্থা এবং দায়িত্বশীলতা অপেক্ষা করছে।