পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর কেন্দ্র সরকার (Abhishek Banerjee) একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার উদ্দেশ্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে (Abhishek Banerjee) আন্তর্জাতিক মহলে সন্ত্রাসবাদে মদতের প্রমাণ তুলে ধরা। এই প্রতিনিধি দল বিভিন্ন দেশ ঘুরে বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের আসল চেহারা প্রকাশ করবে। কিন্তু এই দল গঠনের প্রক্রিয়া ও তাতে সদস্য মনোনয়ন নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। বিশেষত, তৃণমূল কংগ্রেসের (Abhishek Banerjee) তরফ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) বক্তব্য এই বিতর্ককে আরও গুরুত্ব দিয়েছে।
তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলে রাজনৈতিক(Abhishek Banerjee) মুখ নয়, বরং শহিদদের পরিবার, সেনা আধিকারিক এবং অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া বীর জওয়ানদের রাখা উচিত। কারণ, এঁরাই firsthand অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারবেন পাকিস্তান ঠিক কীভাবে সন্ত্রাসবাদে মদত(Abhishek Banerjee) দেয় এবং ভারতের বিরুদ্ধে কীভাবে চক্রান্ত করে। অভিষেকের ভাষায়,(Abhishek Banerjee) “পাকিস্তানের মুখোশ(Abhishek Banerjee) যারা খুলতে পারবে, তারা হল আমাদের বীর সেনারা ও শহিদদের পরিবার। রাজনৈতিক নেতারা হয়তো বক্তব্য রাখতে পারেন, কিন্তু এই বাস্তব অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই।”
প্রতিনিধি দল গঠনের প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক(Abhishek Banerjee) । তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র একতরফাভাবে বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের মনোনয়ন করেছে, যা গণতান্ত্রিক রীতির পরিপন্থী। উদাহরণস্বরূপ, তৃণমূল থেকে বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠানের নাম কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তৃণমূলের (Abhishek Banerjee) তরফে জানানো হয়, এই সিদ্ধান্ত তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই নেওয়া হয়েছে। পরে (Abhishek Banerjee) সেই কারণে ইউসুফ পাঠানের নাম প্রত্যাহার করা হয়। অভিষেক বলেন, “প্রতিটি দলের নিজস্ব নেতৃত্ব আছে। কে যাবে তা নির্ধারণের অধিকার দলের, কেন্দ্র নয়।”
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমরা এই উদ্যোগকে বয়কট করছি না। বরং আমাদের তরফ থেকে যদি ৫ জন প্রতিনিধি পাঠাতে হয়, তাও আমরা পারি। কিন্তু তার আগে কেন্দ্রের উচিত ছিল সদিচ্ছা দেখানো, আলোচনা করা।” তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যেও। তিনি জানিয়েছেন,(Abhishek Banerjee) “জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে দলমত নির্বিশেষে ঐক্য থাকা উচিত। কিন্তু কেন্দ্র যদি স্বেচ্ছাচারিতা করে, তবে ঐক্য কোথায় থাকবে?”
অভিষেকের এই বক্তব্যে শুধু কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল নয়, বরং বৃহত্তর এক প্রশ্ন উঠে আসে—সন্ত্রাস ও নিরাপত্তা নিয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলিতে কি যথেষ্ট পরামর্শ ও বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কণ্ঠস্বরের অংশগ্রহণ(Abhishek Banerjee) নিশ্চিত করা হয়? সেনাবাহিনী, শহিদদের পরিবার, ও সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে ফেরা মানুষদের কথা কি আদৌ শোনা হয়?
এই প্রসঙ্গে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, অভিষেকের প্রস্তাব(Abhishek Banerjee) যথেষ্ট যৌক্তিক। আন্তর্জাতিক মহলে যদি ভারতের বক্তব্যকে জোরালোভাবে তুলে ধরতে হয়, তাহলে কূটনৈতিক ভাষার পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মানবিক ও আবেগঘন উপস্থাপনাও প্রয়োজন।(Abhishek Banerjee) আর সেটা করতে পারে একজন শহিদের স্ত্রী বা সন্তান, যিনি স্বজন হারিয়ে এখনও বেঁচে থাকার লড়াই লড়ছেন।
সবশেষে বলা যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুধুই রাজনৈতিক(Abhishek Banerjee) বক্তব্য নয়, বরং রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ভাবনার নতুন দিশা দেখায়। প্রতিনিধিত্ব শুধু রাজনৈতিক নয়, বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেও হতে পারে—এটাই তাঁর মূল বার্তা।