তৃণমূল অফিসই যেন ‘কোর্টরুম’! কলকাতার অদূরেই তৃণমূল নেতার সালিশি সভা

বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তিকে (TMC) তৃণমূল পার্টি অফিসে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটল রাজারহাটে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পঞ্চায়েত সদস্য বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির…

tmc leader

বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তিকে (TMC) তৃণমূল পার্টি অফিসে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটল রাজারহাটে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পঞ্চায়েত সদস্য বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রাজারহাট থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন কলকাতার ঐতিহ্য নিউ-মার্কেটের নাহুমস কর্তৃপক্ষ

   

পুলিশি অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রক্তিম রাজারহাট-বিষ্ণুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তিনি আবার রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর করের ভাইপো হিসেবে পরিচিত। একটি বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থা কর্মরত ছিলেন আক্রান্ত গৌতম। ঋণ প্রদানের কাজে অনির্বান সরকার নামে রাজারহাট দেয়াড়ার বাসিন্দার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। অনির্বাণের সাহায্যে এক ‘ক্লাইন্ট’-কে ঋণ পাইয়ে দেয়। সেই কাজের কমিশনের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ লাগে। যার মীমাংসার কাজে রক্তিমের ভাতেন্ডার গ্যাস গোডাউনের কাছের দলীয় কার্যালয়ে বসে সালিশি সভা। গত শনিবার সন্ধ্যায় বসে বিচারসভা।

বিরাট চমক দিলেন অখিলেশ, উত্তর প্রদেশে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে যোগী

গৌতমের অভিযোগ শনিবার তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত রক্তিম এবং তার চার সঙ্গী। প্রসঙ্গত এক সপ্তাহ আগে পিতৃ বিয়োগ হয় গৌতমের। সেই শোকের ধাক্কা সামলে ওঠার পরেই এই অত্যাচারের ধাক্কায় মর্মাহত তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় এফআইআর দায়ের হয়। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত রক্তিম জানিয়েছেন, ‘সালিশি সভায় চলাকালীন গৌতম মোবাইল বার করে ভিডিও করতে শুরু করেন। সেই কাজে নিষেধ করতেই বচসা বাঁধে। কোন মারধরের ঘটনা হয়নি।’