TMC:তৃণমূল নেতার হাতে গজিয়ে ওঠা মদের ঠেক ভাঙল অন্য তৃণমূল নেতা

এক তৃণমূল নেতার হাত ধরে গজিয়ে ওঠা চোলাই মদের ঠেক ভাঙল অন্য এক তৃণমূল নেতা। তাজ্জব করে দেওয়া এই ঘটনা ঘটল তারকেশ্বর বর্ধমান রোডের সুকান্তপল্লী…

tmc leader

এক তৃণমূল নেতার হাত ধরে গজিয়ে ওঠা চোলাই মদের ঠেক ভাঙল অন্য এক তৃণমূল নেতা। তাজ্জব করে দেওয়া এই ঘটনা ঘটল তারকেশ্বর বর্ধমান রোডের সুকান্তপল্লী এলাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেআইনি মদের ঠেক গড়ে উঠতে দাঁড়িয়ে থাকতে মদত দেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। স্থানীয় বাসিন্দাদের হাজার বারণ সত্ত্বেও নাকি ওই তৃণমূল নেতা কাউকে তোয়াক্কা না করেই রবিবার সকালে দাঁড়িয়েই মদের ঠেক তৈরি করেন কিন্তু দিন গড়াতেই সেই মদের ঠেক আবার ভেঙেও দেন অন্য এক তৃণমূল নেতা।

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে তৈরি করা হয় বেআইনি চোলাই মদের ঠেক। আর সেই মদের ঠেক বাসানোর অভিযোগ আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বপন সামন্তের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এলাকাবাসী বাধা দিলে তাকেও তোয়াক্কা করেনি বলে অভিযোগ। নিজে দাঁড়িয়েই মদের ঠেক তৈরি করতে মদত দেন তিনি।

   

এই খবর পাওয়া মাত্রই বিধায়ক রামেন্দু সিং রায় বেআইনি ঠেক ভাঙার নির্দেশ দেন তিনি। এরপর সকালে তৈরি হওয়া চোলাইয়ের ঠেক ভেঙে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও, অভিযুক্ত কাউন্সিলর নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেছেন, “গরিব মানুষকে দোকান খোলার জন্য বলা হয়েছিল। কোনও চোলাই মদের ঠেক তৈরি করা হয়নি।” এলাকার তৃণমূল নেতা জহর কর বলেন, “একটা বেআইনি মদের দোকান হচ্ছিল। সেই দোকানটা আমরা তুলিয়ে দিয়েছি। এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছিল। আর তৃণমূল নেতার মদতে হয়নি। এগুলো বিজেপিরা বলে। বিধায়ক বন্ধ করতে বলেছে তাই করলাম।” এই ঘটনায় বিরোধীরা গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ তুলেছেন।