প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে আত্মঘাতী হল এক কিশোর

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করল বছর ১৬-র এক কিশোর। সোমবার রাতে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে এই…

Stop committed suicide

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করল বছর ১৬-র এক কিশোর। সোমবার রাতে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরের মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল একটি সুইসাইড নোট। সেখান থেকেই তার মৃত্যুর কারণ জানা গিয়েছে।

ওই কিশোর সুইসাইড নোটটি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিল। ওই কিশোর জানিয়েছে, তার ভাল নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু পরিবার তার এই স্বপ্নপূরণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাবা-মা-সহ পরিবারের অন্যদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেও সে সফল হতে পারেনি। তাই সে আত্মহত্যা করতে চলেছে।
ওই কিশোর সুইসাইড-নোট বা চিঠিতে আরও জানিয়েছে, তার মৃত্যুর পর যেন একটি মিউজিক ভিডিয়ো তৈরি করা হয়। যাতে গান গাইবেন অরিজিত সিং এবং কোরিওগ্রাফি করবেন নেপালের শিল্পী সুশান্ত খতরি। প্রধানমন্ত্রী যদি এই শেষ ইচ্ছা পূরণ করেন তাহলেই তার আত্মা শান্তি পাবে। একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

   

গোয়ালিয়র পুলিশ অবশ্য আত্মঘাতী কিশোরের পরিচয় জানায়নি। তবে ওই কিশোরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ছেলের আত্মহত্যার খবরে ভেঙে পড়েছে তার মা ও বাবা। কেউই কথা বলার মত অবস্থায় নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন ওই কিশোর নাচতে খুব ভালোবাসত কিন্তু তার মা-বাবা বাড়ির কেউই সেটা পছন্দ করত না। সে কারণেই সে যাতে নাচ বন্ধ করে দেয় তার জন্য বারবার তাকে বোঝানো হত। কিন্তু কোন কিছুই ছেলেটিকে তার এই নৃত্য সাধনা থেকে সরাতে পারেনি। মৃত কিশোরের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় জানিয়েছেন, নাচ শিখতে না পারার জন্য শেষ পর্যন্ত যে ওই কিশোর আত্মঘাতী হবে এটা তাঁরা স্বপ্নেও ভাবেননি।

Advertisements

মনোবিদরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ পরিবারই মা-বাবা তাদের সন্তানদের জোর করে কিছু বিষয় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই প্রবণতা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। বরং একজন ছেলেমেয়ে যেটা শিখতে চায় সেটা করতে দেওয়া হলে সে অনেক বেশি সাবলীলভাবে এগিয়ে যেতে পারে। জোর করে কোন কিছু চাপিয়ে দিলে সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীর উপর মানসিক চাপ তৈরি হয়। অনেক সময় এ ধরনের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে থাকে তারা। এক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হয়েছে। আত্মঘাতী কিশোরের পরিবার যদি বিষয়টি একটু বুঝত তাহলে আজ আর ছেলেকে এভাবে অকালেই হারাতে হত না।