মৃত ছেলেকে দেখতে চাওয়ায় জুটল মার! পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ পরিবারের

দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু একাদশ শ্রেণির ছাত্রের। বাস থেকে নামার সময় দুর্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা। ভিআইপি রোডে বাস থেকে নামার সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়…

road accident

short-samachar

দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু একাদশ শ্রেণির ছাত্রের। বাস থেকে নামার সময় দুর্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা। ভিআইপি রোডে বাস থেকে নামার সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অঙ্গীকার দাশগুপ্ত নামে সল্টলেক সি এস স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রের। কিন্তু এই দুর্ঘটনার খবর পুলিশ বাড়ির লোককে জানানো হয়নি অভিযোগ, শুধু তাই নয় মৃত ছেলেকে দেখতে চাওয়ার জন্য মৃত ছেলের বাবার গায়ে হাত তুলেছে পুলিশ। এখানেই শেষ নয়, ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

   

পরিবারের অভিযোগ ভর সন্ধেয় এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েছে স্থানীয় রিক্সা চালকের কাছ থেকে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদেরকে পুলিশের তরফ থেকে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। লোক মারফত জানতে পেরে ভি আই পি রোডে ছুটে আসেন তাঁরা। তারপর অনেক প্রশ্ন করার পর পুলিশে জানায়, তাঁদের ছেলেকে বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর তাঁরা ছুটে যান ওই হাসপাতালে। সেখানে দুর্ঘটনায় মৃত ছেলের দেহ দেখতে চাওয়ায় শোকার্ত বাবা-মায়ের ভাগ্যে জোটে পুলিশের মার! এমনটাই অভিযোগ মৃত পড়ুয়ার বাবা – মায়ের।

পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, কীভাবে ছেলের মৃত্য়ু, তা জিজ্ঞাসা করাতেই মারমুখী হয়ে ওঠে পুলিশ। আগাগোড়াই মেলে পুলিশের অসহযোগিতা! হাসপাতালে ছেলের দেহ দেখতে গেলে, সেখানকার পুলিশ ক্যাম্পে তাঁদের হেনস্থা ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁদের টেনে হিঁচড়ে বারাসাত থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

প্রসঙ্গত এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কেন দুর্ঘটনা স্থলের কাছেই চারনক হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও ওই পড়ুয়াকে দূরে বারাসাতের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল? কেন মৃত্যুর ৪ ঘণ্টা হওয়ার আগেই দেহ পাঠানো হল মর্গে ? তবে এই ঘটনার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ, ” মারধর করা হয়নি ,তাঁদেরকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সির সামনে থেকে সরিয়ে আনা হয়েছিল। হাসপাতালের তরফ থেকে দাবি, যে ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের চিকিৎসা করতে বাধা দিচ্ছিলেন ওই মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। তাই পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে।