আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ এই গরমের মারাত্মক ব্যাটিং একদম গগনচুম্বী। রাজ্যবাসীকে কাহিল করে ছেড়েছ। শুধু কাহিলই নয় রাস্তা ঘাটে একদম লকডাউনের পরিস্থিতি। সকাল ১১টার থেকে বিকেল ৪টে অবধি বাড়ির বাইরে কাউকে একটা দেখা যাচ্ছে না। তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। ঘেমেনেয়ে ক্লান্ত শহরবাসী চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে কবে বৃষ্টি হবে। হাওয়া অফিসের খবর অনুসারে আগামী রবিবার থেকে আবহওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। কিন্তু ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। যদিও সেটা সরকারী মতে। বেসরকারী মতে এই সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে। কিন্তু এটার চেয়েও সাংঘাতিক বিষয় হলো, বাড়িতে থেকেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আটজন।
একটি বাংলা দৈনিকের খবর অনুসারে কিছুদিন আগে এক বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তি করার সময় তাঁর শরীরের তাপমাত্রা ছিল ১০৭ ডিগ্রি। সঙ্গে অচৈতন্য, কথা জড়িয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব এইগুলিরও সমস্যা ছিল। তিনি কি রোদে বেরিয়েছিলেন ? জানা গিয়েছে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তাহলেও এইরকম কী করে হয় ? প্রশ্ন উঠেছে। জানা গিয়েছে এই গরমে তিনি সল্টলেকের একটি আবাসনের সবচেয়ে উঁচু তলায় ঘরের জানালা দরজা বন্ধ করে ছিলেন। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। আবার একই রকম ঘটনা ঘটেছে দমদমের এক বৃদ্ধার সঙ্গে। বাড়িতে থেকেই তিনি নাকি হিট এগজেরশানে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরও নাকি শরীরের তাপমাত্রা ১০৭ ডিগ্রি উঠে গিয়েছিল।
বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার প্রীতম বোস kolkata 24×7-এর মুখোমুখি হয়ে বললেন, এই রকম ঘটনা ঘটতেই পারে। এটাকে হিট এগজারশান বলে, হিট স্ট্রোক নয়। তাঁর কথায়, আপনি একটি বহুতলের উঁচু তলায় শুধুমাত্র ফ্যান চালিয়ে সব জানলা দরজা বন্ধ করে থাকলে এই রকম ঘটনা ঘটতেই পারে। এইরকম ঘটনা ঘটার সময় আপনার শরীর ছুঁলে দেখা যাবে শরীর ঠাণ্ডা। ত্বক একটু শুষ্ক এবং ঘাম আছে। এই ঘটনা আপনি একটি বন্ধ গাড়ির মধ্যে বসে থাকলেও হতে পারে। তাঁর মতে, খোলামেলা পরিবেশে থাকবেন তত ভাল। ঘরের ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখুন। চেষ্টা করুন শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করার।