ভারতজুড়ে ৫জি পরিষেবা এখন পুরোপুরি চালু, এবং এটি বর্তমানে ৭৭৬ জেলার মধ্যে ৭৭৩টি জেলার নাগরিকদের জন্য উপলব্ধ। লাক্ষাদ্বীপও অন্তর্ভুক্ত, এমন তথ্য বুধবার লোকসভার অধিবেশনে মন্ত্রী ডঃ পেম্মাসানি চন্দ্র শেঠকর জানিয়েছেন।
প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী জানান যে, ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট ৪.৬৯ লাখ ৫জি বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। যা টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডাররা বাস্তবায়ন করেছেন।
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে টেলিকম সেবা প্রদানকারীরা ৫জি পরিষেবাগুলি দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সম্প্রসারিত করেছে এবং তারা নোটিস ইনভাইটিং অ্যাপ্লিকেশন এর অধীনে বর্ণিত ন্যূনতম রোলআউট বাধ্যবাধকতাগুলির চেয়েও এগিয়ে গেছে। তবে তিনি এটি উল্লেখ করেছেন যে মোবাইল পরিষেবাগুলির আরও সম্প্রসারণ এর টেকনিক্যাল এবং বাণিজ্যিক বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করবে।
অন্যদিকে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গয়াল ফেব্রুয়ারিতে জানান যে ২০২৬ সালের শেষে পুরো ভারত শুধুমাত্র ৫জি প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হবে। তিনি আরও বলেন ভারত ইতোমধ্যে ৬জি প্রযুক্তির জন্য দেশীয় প্রযুক্তি উন্নয়ন শুরু করেছে।
৫জি যা পঞ্চম প্রজন্মের সেলুলার ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ৪জি-এর তুলনায় অনেক দ্রুত নির্ভরযোগ্য এবং আরও অভিযোজ্য। ৫জি প্রযুক্তি আগামী দিনগুলোতে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, স্মার্ট সিটি, ইন্টারনেট অব থিংস এবং অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ৫জি শুধু শহরাঞ্চলেই নয়, গ্রামীণ এলাকাতেও উন্নত যোগাযোগ পরিষেবা প্রদান করবে, যা দেশের সামগ্রিক ডিজিটাল পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।
ভারতের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ ৫জি পরিষেবার বিস্তার দেশের ডিজিটাল বৃদ্ধির জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। আশা করা হচ্ছে যে ৫জি প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত হবে।