নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। একই সময়ে নির্বাচন ও ভোট গণনা হবে রাজ্যের আরো দুই আসন সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে। ভবানীপুর-সহ বাকি ৭টি বিধানসভা আসনে ভোট করানোর দাবিতে বার বার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি ছিল, রাজ্যো করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কম। তাই ভোট করানো যেতে পারে।
আসন্ন পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনের আগে, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রসহ তিন আসনে সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রায় ১৫ টি কোম্পানি মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে যে ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিন বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তারপরে পশ্চিমবঙ্গের সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের ভোটে সেই বাহিনী চলে যাবে।
আসন্ন বাংলার উপনির্বাচনে সংঘর্ষের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। এর আগে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ২ হাজারেরও কম ভোটে হেরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতে হলে, নিয়ম মতো ছ’মাসের মধ্যে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে তাঁকে। উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এই প্রেস্টিজ ফাইট সামাল দিতেই মরিয়া নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে তৃণমূল মোট ২১৩ টি সিট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিধানসভা নির্বাচনে। তারপরেও ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে প্রায় ছ’জন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলে। সেই সংখ্যাটাও আরও বাড়তে পারে। এবার উপনির্বাচনে সেই আসন সংখ্যা আরও বাড়ানোর সুযোগ এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কাছে।
আরও পড়ুন নন্দীগ্রামের পর এবার ভবানীপুর, মমতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি বিজেপির
চার কোম্পানি বিএসএফ, দুই কোম্পানি এসএসবি এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) থেকে আইটিবিপি এবং সিআইএসএফ -এর প্রতিটিকে মোতায়েন করা হবে। ইতিমধ্যে, বিজেপি নির্বাচন কমিশনে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। যাতে বলা হয়েছে যে সামরিক বাহিনী যথাযথ আধিপত্যের জন্য এলাকায় যেতে হবে, নয়তো গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটাই শাসকদলের স্থানীয় পুলিশ দ্বারা পরিচালিত হবে যারা রাজ্য সরকার অনুযায়ী কাজ করবে।