“সময়ই দেবে উত্তর”— কোন ইস্যুতে চুপ থাকলেন কল্যাণ?

আজ রথযাত্রার আগেই শ্রীরামপুরের আরএমএস মাঠে হয়ে গেল দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজো। আর সেই খুঁটি পুজোর মাধ্যমেই সূচনা হল শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজোর আনুষ্ঠানিকতার।…

Kalyan Banerjee

আজ রথযাত্রার আগেই শ্রীরামপুরের আরএমএস মাঠে হয়ে গেল দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজো। আর সেই খুঁটি পুজোর মাধ্যমেই সূচনা হল শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজোর আনুষ্ঠানিকতার। প্রতিবছরের মতো এবারও ধুমধাম করে হবে এই পুজো, আর তার আগমনী বার্তা দিয়েই এবার খুঁটি পুজোর আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো।

খুঁটি পুজোর মূল উদ্যোক্তা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই পুজো করলেন খুঁটিতে। সঙ্গে ছিলেন একঝাঁক হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতা—তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, চাঁপদানীর বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার প্রমুখ। তাঁদের উপস্থিতি এই পুজোর গুরুত্ব এবং জনপ্রিয়তারই জানান দিচ্ছিল।

   

খুঁটি পুজোর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, এবারের পুজোর থিম নিয়ে। তিনি বলেন, “এই বছর আমাদের পুজোর থিম হচ্ছে কোনারকের সূর্য মন্দির। সেই ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন মণ্ডপে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।” ইতিমধ্যেই থিম নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে উদ্যোক্তা পক্ষ থেকে।

তবে কল্যাণের বক্তব্যে সবচেয়ে বেশি চর্চায় উঠে এসেছে তাঁর ‘চমক’ সংক্রান্ত মন্তব্য। প্রথমে একগাল হেসে সাংসদ বলেন, “চমক বলতে মানুষ চমক! প্রচুর মানুষ আসবেন মণ্ডপে। সেটাই বড় চমক।” কিন্তু এরপরেই তিনি রহস্য জিইয়ে রেখে বলেন, “আসবে… আসবে… এখনও ফাইনাল নয়। তবে একটা ভাল চমক থাকতে পারে। কথা দিয়েছে… বলেছে, চেষ্টা করছি কল্যাণজি (কোশিস কর রাহা হু কল্যাণজি)। এখনও ফাইনাল করিনি।”

এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। কে সেই ‘চমক’? সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও কৌতূহলের পারদ চড়ছে। অনেকে মনে করছেন, পুজোর মণ্ডপে হয়তো আসতে পারেন বলিউডের কোনও নামী শিল্পী বা তারকা। আবার কেউ কেউ ধারণা করছেন, থিমের মধ্যে দিয়েই এমন কিছু অভিনব চিত্র তুলে ধরা হবে যা আগে দেখা যায়নি।

Advertisements

প্রসঙ্গত, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো প্রতি বছরই ব্যতিক্রমী থিম ও শৈলীর জন্য আলোচনায় থাকে। লোকশিল্প, ইতিহাস বা সামাজিক বার্তা—সবকিছুই একত্রে মিশিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ হয়। তাই এবছরের কোনারকের সূর্য মন্দির থিমেও যে দর্শনার্থীরা ভিন্নমাত্রার কিছু পাবেন, তা বলাই যায়।

তবে এবার শুধু থিম নয়, সাংসদের ‘চমক’ ইঙ্গিতেই নজর রাখছেন সকলে। কে হবেন সেই চমকের মুখ? রাজনীতির someone special, না কি রুপোলি পর্দার কেউ? আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে। ততদিন পর্যন্ত শ্রীরামপুরের আরএমএস মাঠের পুজো ঘিরে মানুষের কৌতূহল আর প্রত্যাশা বাড়তেই থাকবে।

পুজোর আয়োজকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করে মণ্ডপ নির্মাণ করা হবে এবং দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে থাকবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। সব মিলিয়ে শ্রীরামপুরবাসীর কাছে এই দুর্গাপুজো কেবল উৎসব নয়, এক আবেগ, এক অনন্য সম্মিলনী।

এবার দেখার, কল্যাণের ‘চমক’ কতটা আলোড়ন ফেলে পুজোর মঞ্চে!