আদিত্য ঘোষ, কলকাতা: লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে সমাজের বিশিষ্টজনের মুখোমুখি Kolkata 24×7। কী ভাবছে সমাজের প্রথম সারির মানুষজন? কীইবা বলছে কলকাতাবাসী? ভোট শুরু হতে আর কিছুদিন বাকি। রাজনৈতিক দলগুলো একচুলও জায়গা ছাড়তে রাজি না । জোরকদমে চলছে ভোটের প্রচার। মিটিং মিছিল জারি আছে বহাল তবিয়তে। ঠিক এই মুহূর্তে বেশ কিছু বেসরকারী সংস্থা আগাম লোকসভা ভোটের ফলাফল দেখিয়েও দিয়েছে। কিন্তু সে কি সত্যি?
অধ্যাপক এবং বিশিষ্ট লেখক অর্ণব সাহা Kolkata 24×7এর মুখোমুখি হয়ে জানালেন “এই ভোট ভারতের নির্ণায়ক ভোট হতে চলেছে।” একটু থেমে তিনি আরও বললেন, “যদি একবার বিজেপি আবার বিপুল সংখ্যা নিয়ে ক্ষমতায় আসে তাহলে ভারতের ইতিহাস বদলে যাবে। সংবিধান বদলে যেতে পারে।”
জিজ্ঞাসা করলাম, “ভোটের হাওয়া কোনদিকে মনে হচ্ছে?” তিনি একটু ভেবে বললেন, “গোদী মিডিয়ার দাবি তো তারা জিতবে, কিন্তু অবস্থা তো খুব একটা ভালও নয়। কারণ ভারতের ইতিহাসে এমন কখনও হয়েছে যে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ভোটের আগে এজেন্সি দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে?” তিনি একটু থামলেন। আবার বললেন, ” বেশ কিছু সেনা স্কুল আরএসএস নিয়ে নিয়েছে।” কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই তিনি বললেন, “মানে সারা দেশে যে সমস্ত আর্মি বিদ্যালয় আছে যেগুলো একেবারেই স্বশাসিত ছিল সেই বিদ্যালয়গুলো আরএসএস দখল করেছে।”
তিনি আবারও বললেন, ‘”এই তো কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে যারা রামনবমীতে নিরামিষ খায় না তারা নাকি ভারতীয় নয়। তার মানে উনি বলতে চাইছেন বাঙালিরা ভারতীয় না?” তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, “এরা এইবার ক্ষমতায় এলে দেশটায় বদলে ফেলবে। দেশের মানচিত্র বদলে যাবে। দেশটা ফ্যাসিস্ট সরকারে পরিণত হবে। তুমি আমি কি খাবো সেটাও ওরা ঠিক করে দেবে। কোথায় যাব, কী করব সবটাই ওদের হাতে থাকবে।”
তিনি আরও বললেন যে, “এক দেশ এক দল। এক দেশ এক নেতা এইসব কনসেপ্ট খুব তাড়াতাড়ি উঠে আসবে। হিন্দুত্ববাদে দেশটা ভরে যাবে।” অপরদিকে তিনি রাজ্যের কথায় আরও জানালেন যে, “এই রাজ্যে তৃণমূল বেশ চাঙ্গা অবস্থায় আছে।” শুধু তাই নয় ভোটে দুর্নীতির কোনও প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তিনি। সবশেষে তিনি আরও বললেন, “উত্তর কোরিয়াকে দেখো, ওখানেও ভোট হয় কিন্তু কে ক্ষমতায় থাকবে সেটা সবাই জানে। শুধু ওখানে কেন, রাশিয়ায় পুতিন এমন আইন পাশ করিয়েছে যে আগামী ২০৩৫ অবধি তিনিই ক্ষমতায় থাকবেন। এখানেও তাই হবে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে।”