জুবিন গর্গকে শ্রদ্ধাঞ্জলি: গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নাম বদল, একগুচ্ছ উদ্যোগ

গুয়াহাটি: অসমের সাংস্কৃতিক গর্ব, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গের অকাল প্রয়াণ রাজ্যের মানুষের হৃদয়ে যে শূন্যতা তৈরি করেছে, তা পূরণ অসম্ভব। তবে তাঁর স্মৃতি ও সৃষ্টিকে…

Zubeen Garg Gauhati University Tribute

গুয়াহাটি: অসমের সাংস্কৃতিক গর্ব, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গের অকাল প্রয়াণ রাজ্যের মানুষের হৃদয়ে যে শূন্যতা তৈরি করেছে, তা পূরণ অসম্ভব। তবে তাঁর স্মৃতি ও সৃষ্টিকে চিরস্থায়ী করে রাখতে একগুচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চারটি প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে।

Advertisements

বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে—

  • গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের Centre for Performing Arts and Culture-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হবে জুবিন গর্গের নামে।
  • ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হবে শিল্পীর ভাস্কর্য, যা আগামী প্রজন্মকে তাঁর সৃজনশীলতার কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।
  • প্রকাশ করা হবে একটি কফি টেবিল বুক, যাতে থাকবে জুবিন গর্গের জীবনকথা ও শিল্পীজীবনের বিস্তারিত যাত্রাপথ।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃকলেজ যুব উৎসবে নতুন বিভাগ “Zubeen’s Songs” চালু হবে, যাতে তরুণ শিল্পীরা তাঁর গান পরিবেশনের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা খুঁজে পান।

উপাচার্যের বক্তব্য Zubeen Garg Gauhati University Tribute

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ননী গোপাল মহন্ত বলেন, “জুবিন গর্গ শুধুই একজন শিল্পী নন, তিনি ছিলেন অসমের আবেগ ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক। তাঁর কণ্ঠে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে আমরা তাঁর সৃজনশীল চেতনা সংরক্ষণ করতে চাই এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তাঁর উত্তরাধিকার বহন করতে উৎসাহিত করতে চাই।”

   

সিঙ্গাপুরে সমুদ্রস্নানের সময় দুর্ঘটনা

উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে সমুদ্রস্নানের সময় দুর্ঘটনাজনিত ডুবে গিয়ে প্রয়াত হন জুবিন গর্গ। মাত্র ৫২ বছর বয়সে তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ আসাম ও সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করেছে, যাতে তাঁর মৃত্যু ঘিরে সব প্রশ্নের নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব হয়।

শ্রোতাদের কাছে ‘অভিনব সুরের জাদুকর’ হয়ে ওঠা জুবিন গার্গের কণ্ঠ যেমন লক্ষ মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবে, তেমনই গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ তাঁর স্মৃতিকে স্থায়ীভাবে গেঁথে দেবে আসামের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে।