Zorawar Tank of India: ভারত দুর্গম এবং উচ্চ উচ্চতার অঞ্চলের জন্য তৈরি দেশীয় জোরোয়ার লাইট ট্যাঙ্ক তৈরি করেছে। ২০২০-২২ সালের ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধের পর, লাইট ট্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় এবং এটি তৈরি করা শুরু হয়। এখন এই ট্যাঙ্কের সেনাবাহিনীর পরীক্ষা আগামী মাসে অর্থাৎ ২০২৫ সালের জুলাই মাসে শুরু হবে।
ভারত দেশীয়ভাবে তৈরি জোরাওয়ার লাইট ট্যাঙ্ক তৈরি করেছে, যা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় অর্জন বলে বিবেচিত হচ্ছে। এটি লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশের মতো উচ্চ উচ্চতায় সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ট্যাঙ্কের প্রথম সেনা ট্রায়াল রাউন্ড ২০২৫ সালের জুলাই মাসে শুরু হবে। এতে এটি তার শক্তি প্রমাণ করবে।
জোরোয়ার ট্যাঙ্কটি ডিআরডিওর কমব্যাট ভেহিকেলস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট (সিভিআরডিই) এবং এলএন্ডটি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এর প্রথম প্রোটোটাইপটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এলএন্ডটি-র হাজিরা (গুজরাট) সুবিধায় প্রদর্শিত হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটি মাত্র ১৯ মাসের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, রাজস্থানের মহাজন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জের মরুভূমি অঞ্চলে এর প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা করা হয়েছিল, যেখানে ট্যাঙ্কের গতি এবং ১০৫ মিমি বন্দুকের নির্ভুলতা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, লাদাখের নাইমা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে ৪২০০ মিটারেরও বেশি উচ্চতায় এটি পরীক্ষা করা হয়েছিল, এখানেও এই ট্যাঙ্কটি সফল হয়।
জোরাওয়ার লাইট ট্যাঙ্কের নাম থেকেই এর বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। এটি উচ্চ উচ্চতা এবং দুর্গম এলাকা থেকে পরিচালনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এর ওজন প্রায় ২৫ টন, যা এটিকে অন্যান্য ট্যাঙ্কের তুলনায় হালকা করে তোলে।
ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে চলেছিল। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (LAC) উত্তেজনা ছিল। এরপর চিন এখানে তার হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক মোতায়েন করে। এরপর ভারতেরও হালকা ট্যাঙ্কের প্রয়োজন হয় এবং তারপর তাদের উৎপাদন শুরু হয়।