গুরুগ্রামে জোমাটো হাইপারপিউরে ‘নকল পনির’ বিতর্ক, গ্রাহকদের উদ্বেগ বাড়ছে

গুরুগ্রামের (Gurugram) একজন ব্যক্তি, সুমিত বেহাল, সম্প্রতি জোমাটো হাইপারপিউরের (Zomato Hyperpure’s) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তারা তাদের B2B প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রেস্তোঁরাগুলিতে “নকল পনির” সরবরাহ করছে।…

Gurugram "Zomato Hyperpure's 'Fake Cheese'

গুরুগ্রামের (Gurugram) একজন ব্যক্তি, সুমিত বেহাল, সম্প্রতি জোমাটো হাইপারপিউরের (Zomato Hyperpure’s) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তারা তাদের B2B প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রেস্তোঁরাগুলিতে “নকল পনির” সরবরাহ করছে। এই দাবি সামাজিক মাধ্যমে তীব্র আলোচনার সৃষ্টি করেছে এবং খাদ্য নিরাপত্তার ওপর প্রশ্ন তুলেছে।

অভিযোগের সূত্রপাতঃ
সুমিত বেহাল তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে জোমাটো হাইপারপিউরের (Zomato Hyperpure’s) ওয়েবসাইটে “অ্যানালগ পনির” লেবেলযুক্ত একটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এই পণ্যটিকে প্রস্তুতকারকদের দ্বারা “টিক্কা এবং গ্রেভি পনিরের খাবারের জন্য উপযুক্ত” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এমন একটি দাবি, যা অনেকের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, “অনেকেই পনিরের খাবার পছন্দ করে এবং রেস্তোরাঁগুলি উদ্ভিজ্জ তেল দিয়ে তৈরি নকল পনির বিক্রি করে।”

   

খাদ্যপণ্যের গুণগত মানঃ
অ্যানালগ পনির মূলত একটি সিন্থেটিক পণ্য যা উদ্ভিজ্জ তেল, স্টার্চ এবং অন্যান্য সস্তা উপাদান দিয়ে তৈরি। এটি ঐতিহ্যবাহী পনিরের তুলনায় অনেক কম মূল্যে বিক্রি হয়। জোমাটো হাইপারপিউরে (Zomato Hyperpure’s) এই অ্যানালগ পনিরের দাম এক কিলোগ্রামে ২১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন যে এই ধরনের পণ্য বিক্রি করে জোমাটো (Zomato) তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করছে।

গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়াঃ
বেহালের অভিযোগের পর, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই তাঁর কথার সাথে একমত হয়েছেন এবং খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক গ্রাহক মন্তব্য করেছেন, “এটা সত্যিই দুঃখজনক যে আমরা কী খাচ্ছি তা জানতেও পারছি না। আমাদের স্বাস্থ্য নিয়ে এমন মজা করা উচিত নয়।”অন্য এক গ্রাহক বলেন, “রেস্তোরাঁগুলো যে পণ্য ব্যবহার করছে তার মান যাচাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি তারা অ্যানালগ পনির ব্যবহার করে, তবে সেটা আমাদের জন্য বিপজ্জনক।”

জোমাটোর প্রতিক্রিয়াঃ
জোমাটো হাইপারপিউর ((Zomato Hyperpure’s)এই বিতর্কের পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তারা দাবি করেছে যে তাদের পণ্যের গুণগত মান সর্বদা পরীক্ষা করা হয় এবং যে কোনো ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেবে। তারা বলেন, “আমরা আমাদের গ্রাহকদের স্বাস্থ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিই। আমাদের পণ্যগুলির বৈশিষ্ট্য এবং উপাদানগুলি নিয়ে আলোচনা করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

এই ঘটনাটি ভারতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন ও নিয়মগুলির ক্ষেত্রে একটি বড় প্রশ্ন উঠেছে। খাদ্যপণ্যের মান এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের নানা বিধিমালা রয়েছে। তবে, অনেক সময় এই বিধি মানা হয় না, যা ক্রেতাদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে। সোশ্যাল মিডিয়া আজকাল একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, যা সাধারণ মানুষের হাতে দ্রুত তথ্য ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। সুমিত বেহালের পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে গেছে এবং এর ফলে জনসাধারণের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা বেড়েছে।

গুরুগ্রামের এই বিতর্কটি খাদ্য নিরাপত্তার একটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে। জোমাটো হাইপারপিউর (Zomato Hyperpure’s)বা অন্য যে কোনও খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা যদি তাদের গ্রাহকদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়, তবে তাদের উচিত সতর্ক থাকা এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমরা আশা করি, এই ঘটনার ফলে খাদ্যপণ্যের মান এবং নিরাপত্তা নিয়ে আরও বেশি আলোচনা হবে এবং সমাধান খোঁজা হবে।